বগুড়ায় করতোয়া নদী দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা আগামী সাত দিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পৌরসভাসহ ৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে এ নোটিশ পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে করতোয়া নদী দখলদারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
নোটিশ পাঠানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বগুড়া পৌরসভা, বেসরকারি সংস্থা ঠেঙ্গামারা মহিলা যুব সংঘ, শহরের মালতিনগর এলাকার মোহাম্মদ বাদশা, হাজেরা বেগম, বাহালুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, লাল মিয়া, জাকির হোসেন, খলিলুর রহমান, মাটিডালি এলাকার আরিফ হোসেন, নাটাইপাড়ার সাইদুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, মশিউর রহমান, লুত্ফর রহমান, আরিফা বেগম, আবুল কাশেম, বজলুর রশিদ, বজলার রহমান, মোহাম্মদ মিল্টন, গৌরদাস, অনিল কর্মকার, গোপাল চন্দ্র দাস, রাধা চন্দ্র দাস, প্রহ্লাদ, বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল, গোপিনাথ মন্দির ও সাহেব বাজার বায়তুল হামদ জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। টিএমএসএস ও পৌরসভা একাধিক স্থানে করতোয়া নদী দখল করায় এই দুই প্রতিষ্ঠানকে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বগুড়া শহর ও শহরতলির বিভিন্ন অংশে করতোয়া নদী দখলকারী ৩৮ জনের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠায় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়। প্রথম দফায় আগের ওই তালিকার আটজনকে বাদ দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন বলেন, টিএমএসএসের বিরুদ্ধে করতোয়া নদীর একাধিক স্থানে দখল, ভরাট ও নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের পেছনে মহিষাবান মৌজায় ৪ দশমিক ৯০ একর নদীর জায়গা দখল করে ছাত্রাবাস, ক্যান্টিনসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক আশরাফুজ্জামান বলেন, বিসিএল পেপার মিলের ইটিপি বন্ধ রেখে বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলার ঘটনা তদন্ত করে টিএমএসএসের বিরুদ্ধে মালতিনগর ভাটকান্দি সেতুসংলগ্ন এলাকায় নদী দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান বলেন, নদীপারের জায়গা খালি ছিল বলে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করেছে পৌরসভা। প্রশাসনের নোটিশ পেলে অবৈধ স্থপনা সরিয়ে নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, ‘নদী কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক নদী দখলদারের তালিকা তৈরি শেষে তা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।