প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মামলা চলমান থাকায় এখনই জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। কেননা জামায়াত নিষিদ্ধের মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। আমি আশা করি, কোর্টের রায় খুব শিগগিরই যদি হয়ে যায়, তাহলে জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।
আজ বুধবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এ সময় তারেক রহমানসহ দণ্ডিত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যারা অপরাধী, মানুষ খুন করা থেকে শুরু করে যারা মানিলন্ডারিং করেছে, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে, দুর্নীতি করেছে- এ সমস্ত মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত, যারা বিদেশে পালিয়ে আছে, পলাতক আসামি- তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে পারব।
উত্তর প্রদানের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। এখন তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার একটা মামলা কোর্টে রয়ে গেছে। এই মামলা রায় যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে ততক্ষণ সেখানে আমরা কোনো কিছু করতে পারি না। কোর্টের রায় খুব শিগগিরই যদি হয়ে যায় তাহলে জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।
নির্বাচনে জামায়াতকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা ন্যক্কারজনক- তারা নিবন্ধিত দল না, তারপরও বিএনপির সঙ্গে জোট করে জামায়াতে ইসলামী নামে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছে। জনগণকে ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট না দেয়ার জন্য ।
জিয়াউর রহমানের সম্পর্কে সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল। এদেশে গণহত্যা থেকে শুরু করে নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ নানা ধরনের অপরাধ তারা নির্দ্বিধায় করেছে। স্বাধীনতার পর তাদের অপরাধের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার জোরে তাদের বিচার বন্ধ করে দেয়, তাদের ভোটের অধিকারও প্রদান করা হয়, রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যেটা আমাদের সংবিধানে ছিল না।