Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিডিমনিংয়ের চোখে আ'লীগের বিজয় সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:১০ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:১৭ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ আর কিছুক্ষনের মধ্যেই শুরু হবে। ইতোমধ্যে রাজধানী ও আসেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলের নেতা কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জড়ো হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সমাবেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে অংশ নিতে জনসাধারণের আগমনে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা জনস্রোতে পরিণত হয়েছে।

সরিজমিনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতকর্মীরা বেলা ১১টার পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে  সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ‘জয়বাংলা স্লোগানে’ পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।

বেলা ১১.৪৫ মিনিট/শাহবাগ মোড়ঃ তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের বড় একটা মিছিল টিএসসির দিকে যায়। এছাড়া একাধিক ঝটিকা মিছিল নিয়ে সমাবেশেস্থলের দিকে যেতে দেখা যায়। এর পরই উত্তরখান ছাত্রলীগ, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ, জাতীয় রিক্সা-ভ্যন শ্রমিক ইউনিয়নের বেশকিছু কর্মীকে ট্রাক-পিক আপ ও বাসযোগে সমাবেশস্থলে যাওয়ার চিত্র লক্ষ করা যায়।

এর অপর পাশে জাতীয় যাদুঘরের সামনে মুক্তিযাদ্ধা প্রজন্মলীগের ব্যানারে লম্বা মিছিল অপেক্ষারত ছিলো। এছাড়া শাহবাগ মোড়ে পুলিশি নিরাপত্তাও ছিলো পর্যাপ্ত।

১২.২০ থেকে ১২.৩৫ মিনিট টিএসসি চত্বরঃ শেহরাওয়াদী উদ্যানের এই গেটে ছিলো উপচে পরা ভীড়। পাশ দিয়ে সবুজ পোশাক পরিহিত যুবলীগের মিছিল ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মিছিল ছিলো চোখে পড়ার মতো তবে অন্য যেকোনো সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক আয়োজনের চাইতে এ সমাবেশে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিলো যা সচারাচার চোখে পরে না।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি ও চারুকলা প্রাঙ্গণসহ ঢাবি ক্যাম্পাসের এই পুরো এলাকাজুড়ে ছত্রভঙ্গভাবে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর, সাভার আওয়ামী লীগ, ঢাকা ১৩ আসনের আওয়ামী লীগের মিছিল লক্ষ করা যায়।

১২.৪০ থেকে ১.০০ মিনিটে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনঃ  বাংলা একাডেমির ২টি প্রবেশাদ্বারেই স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করছিলো নেতাকমীরা। এছাড়া এখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বই নিয়ে ২টি লাইব্রেরির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ যুবলীগ। এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবের নজরদারিও লক্ষ করা গেছে।

দুপুর ১.১২ মিনিট বুদ্ধিজীবি কবরস্থানঃ বাংলাদেশ যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা লীগের সমাগম লক্ষ করা যায়। এ খানকার প্রবেশাদ্ধারে ভীড় থাকায় দেযাল টপকে নেতাকর্মীদের প্রবেশ করগে দেখা যায় পরে পুলি তা বাধা দেয়। এছাড়া সবুজবাগ ছাত্রলীগ, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী মংস লীগ ও মংস লিগের অাহ্বায়ক কমিটির মিছিলসহ বিভিন্ন এলাকার নেতাকমীদের দেখা যায়।

এছাড়া এখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকনের সৌজন্যে বিনামূল্যে মিনারেল ওয়াটার বিতরণ করতে দপখা যায়।

দুপুর ১.২৫ মিনিট দোয়েল চত্বরঃ এখানে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন এলাকার নেতাকমীদের মিছিল ও জড়ো হতে দেখা যায়। সমাবেশের জন্য এখানকার প্রায় ৪০টিরও বেশি মাটির তৈরি জিনিসপত্রের দোকান বন্ধ দেখা যায়।

দুপুর ১.৩৫ মিনিট শিক্ষাভবন চত্বরঃ গাজারীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যনারে নেতাকমীরা জড়ো হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে অাগত নেতাকমীদের পরিবহনে বাস পাকিক করে রাখা হয়েছে।

দুপুর ১.৪০ মিনিটে কদম ফোয়ারা (ইদগাহ গেট) ঃ পল্টন থানা ছাত্রলীগের একটি মিছিল আ সময় শ্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যেতে দেখা যায়। তবে এই এলাকা ছিলো একেবারেই নিরব, সমাবেশের কোনো মাইকও এখানে দেখা যায়নি। তবে সাধারণ যাত্রীদের বাসের অপেক্ষা করতে দেখা গেলেও ছিলোনা পযাপ্ত গণপরিবহন ফলে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে দেখা যায় অনেক সাধারণ মানুষদের।

দুপুর ১.৫০ মিনিট মতস ভবন এলাকাঃ এ স্থানে পুলিশের নিরাপত্তা ছিলো কড়াকড়ি, সাধারণ নেতাকর্মীদের চলাচল ছিলো পুরুপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তবে শাহবাগ হয়ে পল্টন ও কাকড়াইল অভিমুখে গণপরিবহমের চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।

দুপুর ১.৫৮ মিনিট সমাবেশের মুল ফটকঃ একেবারেই ফাকা ছিলো, মুলত সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রবেশের জন্যই নিরাপত্বা বলয়ের মাধ্যমে ঘিরে রাখা হয়েছে। এর পাশের গেট দিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনপর সিনিয়রদের গাড়িবহর প্রবেশ করতে দোখা যায়।

Bootstrap Image Preview