নড়াইলের শেখ হাটি ইউনিয়নের হাতিয়াড়া গ্রামের সিমা পাগলী (২২) একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা হয়েছে। কিন্তু এই সন্তানের বাবা কে? সেটি এখনও বলতে পারছে না কেউ। সিমা বর্তমানে এই নবজাতককে নিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতলে ভর্তি আছে।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতলে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সিমা নামের এই পাগলী। সকালে ওই গ্রামের এক মহিলা নড়াইল সদর হাসপাতালে সিমাকে ভর্তি করে রেখে চলে যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সিমাকে ভর্তি করার পর থেকে সে প্রসাব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। চিকিৎসা শুরু করার কিছু সময়ের মধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম (নরমাল ডেলিভারি) হয়। শিশুটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে, শিশু এবং শিশুর মা এখন ভাল আছে।
এ খবর শোনার পর বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ওই কুমারী মা ও নবজাতককে দেখতে হাসপাতালে যান নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন।
নড়াইলবাসীর দাবি এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সিমার এখনও বিবাহ হয়নি। এলাকার মানুষ তাকে সিমা পাগলী নামে চেনে।
এলাকার বখাটে যুবকেরা এ ধরনের নেক্কারজনক কাজ করতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
শেখহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাঠক জানান, সিমার মামা বাড়ি নড়াইলের সীমান্তবর্তী এলাকা শেখহাটি ইউনিয়নের হাতিয়াড়ায়। সিমা যখন ছোট তখন তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন থেকেই সিমা মামার বাড়িতে থাকতো। তার (সিমার) বয়স যখন ১০-১২ বছর তখন এলাকার মানুষ জানতে পারে সে পাগল। ছোটবেলা থেকেই সিমা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে, রাস্তা ঘাটে, বাজারে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতো এবং রাত কাটাতো। এলাকার মানুষ তাকে খাবার দিলে খেত।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন পিপিএম জানান, একটি পাগলী নড়াইল সদর হাসপাতালে কন্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এমন খবর শুনার সাথে সাথে নবজাতক এবং তার মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে তাদের অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছি। রক্তের প্রয়োজনে এক পুলিশ সদস্য এক ব্যাগ রক্ত দিয়েছে। এই নবজাতকের বাবা কে সেটা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।