Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২২ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রমিকদের আন্দোলন উসকে দিয়েছে এই বেনামি কাগজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৪৭ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


বেশ কয়েক দিন থেকে ঢাকা ও এর আসে-পাশের শহরগুলোতে লাগাতার শ্রমিক আন্দোলন চলছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চল ফতুল্লায় শ্রমিকদের আন্দোলনে উসকে দিতে বিলি করা হয়েছে একটি লিখিত সাদা কাগজ। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এমন লিখিত সাদা কাগজের শিটকে কেন্দ্র করে পরপর একাধিক আন্দোলন সৃষ্টি করা হয়। অথচ ওই কাগজে নেই কারখানার নাম ঠিকানা, মালিকের স্বাক্ষর বা সিল। ওই শিটে লিখিত বেতন ভাতাকে কেন্দ্র করে ফতুল্লার অবন্তী কালার থেকে ওই শ্রমিক আন্দোলন সৃষ্টি করা হয়।

এ নিয়ে বিব্রত চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বে দেয়া শ্রমিক নেতারাও। বুধবার বিসিকে কর্মরত শ্রমিকদের কাছ থেকে এ কাগজ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শ্রমিক নেতা জানান, ফতুল্লার বিসিক বিভিন্ন সময় গুজবকে কেন্দ্র করে শ্রমিক আন্দোলন উসকে দেয়া হচ্ছে। এর আগে এনআর গ্রুপে শ্রমিকের লাশ ফেলা হয়েছে বলে গুজব সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে গিয়ে দেখা যায় কোনো লাশ নেই। বেশির ভাগ শ্রমিকরা প্রাথমিকভাবে গুজবকে সত্যি ধরে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন।

তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে চলমান আন্দোলনে শ্রমিকরা দাবি করছে- অবন্তী কালার কারখানা একটি সাদা কাগজে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পুরো কাগজটিতে অপারেটর/আয়রনম্যান লিখে বেতন-ভাতা ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার লেখা হয়েছে। সেই সাদা কাগজে নেই মালিকের কোনো স্বাক্ষর সিল বা কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম। অথচ টানা ৪ দিন এই কাগজের ওপর নির্ভর করেই আন্দোলন চলে আসছিল। ওই কাগজের ওপর ভিত্তি করেই অন্যান্য শিল্পকারখানায় শ্রমিক আন্দোলন উসকে দেয়ার চেষ্টাও চলছিল।

শ্রমিক নেতা আরও জানান, সরকার ঘোষিত পে-স্কেল অনুযায়ী অপারেটর ও আয়রনম্যান বেতন ৯ হাজার ৫৭৮ টাকা। ওই অনুযায়ী মালিকপক্ষ বেতনও পরিশোধ করেছে। এমনিক পে-স্কেলের চেয়ে ৫-৮শ টাকা বেতন পরিশোধ করেছে।

এ বিষয়ে অবন্তী কালারের মালিক আসলাম সানি জানান, কাগজটি দেখলে যে কেউ বুঝবে এটি সাজানো একটি চক্রের কাজ। এ বিষয়ে ব্যবসায়িক সংগঠন ও প্রশাসনকে অবহিত করেছি।

বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, ওই কাগজটি এবার আন্দোলনে গুজবের মূল ইস্যু। ওই কাগজে যে একজন ডিরেক্টর স্বাক্ষর রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল সেই পুরোটাই মিথ্যা। গত ১ মাস আগে ওই কাগজটি নিয়ে শ্রমিকরা আমার কাছে এসেছিল। আমি সেই সময় অবন্তীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বিষয়টি ভুয়া আমরা প্রথম থেকেই জানি।

তিনি আরও জানান, এই কাজটি একটি চক্রের শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের এসপি জায়েদুল ইসলাম জানান, আমরা এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখছি। বিসিকে পুলিশের কড়া পাহাড়া বসানো হয়েছে। কোনো রকম ছাড় দেবে না পুলিশ।

Bootstrap Image Preview