সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবিশ্বাস্য জয়ের পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে আগামী সোমবার। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদ ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন নজির সৃষ্টি হবে। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে অনেকেই জোর লবিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন- গণভবন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমণ্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, প্রভাবশালী নেতাদের বাসায় মন্ত্রী পদপ্রত্যাশীদের আনাগোনা বেড়েছে।
এদের মধ্যে নবনির্বাচিত এমপি, মনোনয়নবঞ্চিত নেতা এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকে আছেন।
সূত্র মারফত আরও জানা যায়, নতুন মন্ত্রিসভায় পুরনোদের অনেকেই বাদ পড়ছেন। এদের বেশির ভাগ পরিচিত মুখ। বয়স, শারীরিক অসুস্থতা, দুর্নীতির অভিযোগ এবং অদক্ষতার কারণে তাদের বাদ দেয়া হচ্ছে।
এ তালিকায় প্রভাবশালী একাধিক মন্ত্রী রয়েছেন। তারুণ্যনির্ভর মন্ত্রিসভা গঠন করার লক্ষ্যে পুরনোদের অনেকেই ছিটকে পড়বেন। নতুনদের স্থান দিতে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন জেলা কোটায় স্থান পাওয়া কয়েকজন।
সবমিলিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ জন মন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। এ তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
এছাড়া বাদের তালিকায় আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল, তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।