Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

'যেদিকে তাকাই খালি লাঙ্গল'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৩ PM
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পুরান ঢাকার নবাবপুর রোড ধরে দক্ষিণে যত এগিয়ে যাবেন, রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে চোখে পড়বে ঢাকা- ৭ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজী সেলিম আর পূর্ব পার্শ্বে ঢাকা-৬ আসনের মহাজোট প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদের সারি সারি পোস্টার। এ সড়কটি দুই আসনের সীমানা বিভক্তকারী রেখা। ফলে ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তারকারী মহাজোট প্রার্থী আর নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ঢাকার নবাবপুর রোড।

পুরান ঢাকার- ওয়ারী, গেণ্ডারিয়া, ফুলবাড়িয়া, নাজিরাবাজার, সূত্রাপুর এবং বংশালের একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা ৬ আসনে এবার মোট প্রার্থী ৮ জন। প্রধান দুই জোটের প্রার্থী হিসেবে আছেন মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীকে কাজী ফিরোজ রশীদ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে লড়ছেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

শনিবার বন্ধের দিন না হলেও ছুটির দিনের বন্ধ ছিল পুরো এলাকার দোকানপাট। এর সাথে মৃদু বাতাসে বয়ে আসা হিম শীতল সকালে লোকজন তেমন চোখে না পড়লেও জোহরের নামাজের আগে বের হতে থাকেন এলাকাবাসী। নির্বাচনের মাত্র আর কয়েক ঘন্টা আগে সুখকর কোনো কথা শোনা গেলো না নবাবপুর রোডের বাসিন্দাদের কাছ থেকে।

এবার না দিতে পারলে হেট্টিক (হ্যাট্রিক) হউব,গত দুবার ভোট দিতে পারি নাই। ‘ভোটের দিন শেষ ভাই, আমগো ভোট দেওনে কাম নাই’। কথাগুলো যিনি বললেন তিনি অনেক অনুরোধ করলেন তার নাম না লিখতে।

কারণ হিসেবে বললেন, “আওয়ামী লীগ নেতারা হুমকি দিয়া রাখছে আমরা যেন ভোট কেন্দ্রে না যাই। গেলে নাকি মাথা কাইট্যা লউব”! পাশ থেকে কথা শুনছিলেন একজন তরুণ।

নিজে থেকে বলা শুরু করলেন, “ভোটার হইছি ৫ বছর আগে, আইজ পর্যন্ত ভোট দিতে পারি নাই ভাই, মনে হয় এবারও পারুম না”। নাম জিজ্ঞেস করলে বললেন, “কইলে নাম কোনদিক থেইক্যা যে দিবো টান”!

গতকাল সকাল ৮ টা পর্যন্ত প্রচারণার শেষ মহুর্ত পর্যন্ত ফিরোজ রশীদ মাঠে থাকলেও ভোটের প্রচার শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত এলাকায় কেউ সুব্রত চৌধুরীকে দেখেননি। এমনকি ধানের শীষের কোনোও মিছিলও চোখে পড়েনি এলাকাবাসীর।

গভীর রাতে বিএনপি নেতারা দু একবার মিছিল বের করার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় তা হতে পারেনি বলে জানালেন কেউ কেউ।

কোন প্রার্থী জিতবে এমন প্রশ্নে ওয়ারী এলাকার পান দোকানদার মুহাম্মদ জালাল বললেন, যেদিকে তাকাই খালি লাঙ্গল। ধানের শীষরে নামতে দেয় না। এবার ধইরা নেন ক্যাঠা জিতব! তয় কেন্দ্র দখল না হলে অন্য কথা। তবে অনেক হতাশার মাঝেও আশা দেখছেন এখানকার অনেক ভোটার।

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট হতে যাওয়া এ আসনে কারচুপি করার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে মত অনেকের। উলটো মতও আছে। কারও কারও ধারণা ইভিএমে এক মার্কায় ভোট দিলে অন্য মার্কায় চলে যাবে। তবে যত যাইহোক ভোট ৩০ তারিখ ভোট দেবেন এমন জোর কণ্ঠও শোনা গেছে অনেকের।

Bootstrap Image Preview