Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসিকে হাইকোর্টের চ্যালেঞ্জ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৮ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৮ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার (ধানের শীষ প্রতীকে ২২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজন) প্রার্থিতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, জামায়াতের ২৫ প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন। তবে ওই ২৫ জনের প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি হাইকোর্ট। 

বুধবার জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন চার ব্যক্তি। ওই আবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।  

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হাসেন সাজু। আর ২৫ প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

আদেশের পর রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ জনকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার আবেদন করা হয়েছিল রিটে। আদালত সে নির্দেশনা দেয়নি। ফলে ২৫ প্রার্থীর নির্বাচন করতে বাধা নেই।

এর আগে জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, দলের সমাজ কল্যাণ সচিব মো. আলী হোসেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান-এর সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মো. এমদাদুল হক । পরে হাইকোর্টের নির্দেশ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনেও তারা আবেদন করেন। 

গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ওই আবেদনটি তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ সময় দেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. সেলিম মিয়া ২৪ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে জানান, ওই ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করে আবেদনটি নামঞ্জুর করেছে। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার হাইকোর্টে ফের আবেদন করেন চারজন। 

Bootstrap Image Preview