কক্সবাজার-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিনা আকতার, তার স্বামী এবং নেতাকর্মীদের প্রাণনাশের শঙ্কার কথা জানিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া আবেদনে বিএনপি প্রার্থীর ভাই জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শাহজালাল চৌধুরী ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে নৌকার প্রার্থী শাহিনা আকতার উল্লেখ করেন, কক্সবাজার-৪ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনী বিধি মেনে শৃঙ্খলার সাথে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর ভাই জামায়াত নেতা শাহজালাল চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক সোলতান মাহমুদ চৌধুরী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে আসছে।
পাশাপাশি তার স্বামী বর্তমান এমপি আবদুর রহমান বদি ও দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষিদের নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ইতোপূর্বে তারা তার স্বামীকে হোয়াইক্যং এলাকায় গাড়িবহরে গুলি করে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এতে তার স্বামী এমপি বদি প্রাণে রক্ষা পেলেও গাড়িটির ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলাও হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাদের নেতৃত্বে ঘটা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়াও যেকোনো সময় তাদের সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে মারাত্মক প্রাণহানিসহ যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটানোর শঙ্কায় রয়েছেন। তাই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানান তিনি।
অপরদিকে একইভাবে সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি নৌকার প্রার্থী তার স্ত্রী শাহিনা আকতারের জয় নিশ্চিত করতে টেকনাফ উপজেলার বেশ কিছু ভোটকেন্দ্র দখলের নীল নকশা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। ইতিমধ্যে সভা সমাবেশে এমপি বদি দেখিয়ে ভোট দিতে না পারলে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নেই বলে প্রকাশ্যে হুমকির কথা উল্লেখ করেন।
ধানের শীষ ও নৌকার প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সবগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া আছে।