Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চেনা বিটরুটের অজানা কিছু গুণাগুণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৭ PM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিটরুটের প্রতি বাঙালিদের তেমন একটা জনপ্রিয়তা নেই ঠিকই। কিন্তু কিন্তু চিকিৎসক মহলে এর বেজায় কদর। আর কদর কেনই বা হবে না- ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং আরও একাধিক উপকারি উপাদানে ঠাসা এই সবজটি খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গ এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে কোনো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

আসুন জেনে নেই বিটরুটের কিছু গুণাগুণঃ

১. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে

বেশ কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে বিটরুটে উপস্থিত "বিটেন" নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।

৩. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
রক্তে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিক উপাদান শরীরে থেকে বার করে দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করে তুলতে বিটের রসের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো মুখের ক্যানভাসে যদি কালো ছোপ বা ব্রণের দাপাদাপি থাকে, তাহলে আজই বিটের রসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান।

৪. লিভারের ক্ষমতা বাড়ে
প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, বিটেইন, ভিটামিন বি, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এই সবজিটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। কারণ সবকটি উপাদানই নানাভাবে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫.হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
বাড়ির বাইরে খেতে খেতে পাকস্থলি কাজ করা বন্ধ করে দিতে বসেছে। ফলে বাড়ছে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ? তাই চিন্তা না করে আজ থেকে এক গ্লাস করে বিটরুটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন পাকস্থলি তার হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফিরে পাবে। ফলে হজম ক্ষমতা এমন বেড়ে যাবে যে অম্বল ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

৬.এনার্জির ঘাটতি দূর হয়
গলা দিয়ে গড়িয়ে রসটা যখনই রক্তে মেশে অমনি সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অংশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ঘাটতি হতে থাকা ফিজিক্যাল এনার্জিও ফিরে আসে। শুধু তাই নয়, স্ট্রেসও কমতে থাকে। তাই এবার থেকে অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত-অবশান্ত লাগলে ঝপ করে এক গ্লাস বিটের রস বানিয়ে খেয়ে ফেলবেন। দেখবেন নিমেষে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।

৭.হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বিটরুট বা বিটের রস খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হৃদপিন্ডের ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবানও কমে। এই কারণেই যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের ৩০-এর পর থেকেই নিয়মিত বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৮.ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে পালায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বিটরুটে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ইনসুলিনের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।

৯. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
যেভাবে স্ট্রেস আমাদের ঘিরে ধরছে, তাতে রক্তের আর কী দোষ বলুন! রাগে-দুঃখে-হতাশায় সে ফুলে ফেঁপে উঠছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে রক্তচাপ। এমন অবস্থায় রক্তকে ঠান্ডা করতে পারে একমাত্র বিটের রক্তিম রস। আসলে রক্তের মতোই দেখতে এই রসে রয়েছে নাইট্রেস, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়
মস্তিষ্কের সোমাটোমটোর কটেক্স অঞ্চলে অক্সিজেনেশানের উন্নতি ঘটানোর মধ্যদিয়ে ব্রেন নিউরোপ্লাস্টিসিটি বাড়াতে বিটের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার মস্তিষ্কের এই বিশেষ অংশটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘঠতেও সময় লাগে না।

১১.শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়
বিটের ভেতরে রয়েছে বিটালায়েন্স নামে একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা দেহে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এখানেই শেষ নয়, বিটের রসে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

Bootstrap Image Preview