Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুলিশে চাকরি পেতে ‘কুমারীত্বে’র পরীক্ষা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৪ PM
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশে চাকরি পেতে হলে নারীদের কুমারী হতে হবে। ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশ বাহিনীতে নারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশে যোগ দিতে ইচ্ছুক নারীদের ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামের একটি পরীক্ষা দিতে হবে।ওই নারী আসলেই কুমারী কি-না তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হবে। শুধু তাই নয়, এই নারীদের সুন্দরীও হতে হবে।

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশে চাকরি পেতে হলে নারীদের কুমারী হতে হবে।শুধু কুমারী হলেই চলবে না, হতে হবে সুন্দরীও। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এদিকে, পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে নারীদের জন্য কুমারীত্বের পরীক্ষা চালু করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। বলা হচ্ছে, পুরুষশাসিত সমাজের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্দোনেশিয়া।  

ইন্দোনেশিয়ার এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে তাবৎ বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মুখপাত্র আন্দ্রে হারসোন জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বাহিনী মনে করছে, সক্রিয় যৌন জীবন আছে, এমন কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। এটা নারী স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা।

উল্লেখ্য, এর আগে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই এই পরীক্ষাকে অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক বলে বর্ণনা করেছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এভাবে পরীক্ষা করা কোনো নারীর জন্য যৌন হেনস্তার শামিল।

২৭ বছর বয়সী আনিসা পুলিশ বাহিনীতে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এ পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া উচিত। পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। এর ফলে আমরা অন্যদের (মানুষ) সুরক্ষা দিতে সক্ষম।’

আন্দ্রে হারসোনও বলেন, পুলিশ বাহিনীতে নারী কর্মী নিয়োগের এই ব্যবস্থাটি ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ পরীক্ষা যাঁদের দিয়ে হয় তাঁদের ৭০ শতাংশ চিকিৎসকই পুরুষ। তথ্যসূত্র: নিউজউইক ও এবিসি নিউজ।

Bootstrap Image Preview