Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বন্ধ হতে পারে ৫০ কোটি গ্রাহকের মোবাইল পরিষেবা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৯ PM
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, কোনও ব্যক্তি বা বেসরকারি সংস্থা আধার কার্ডের তথ্য নিতে পারবে না।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ধাক্কায় এবার মোবাইল বিপর্যয়ের আশঙ্কা। সাময়িক ভাবে বন্ধ হতে পারে প্রায় ৫০ কোটি গ্রাহকের মোবাইল কানেকশন। শুধুমাত্র আধার কার্ড দিয়ে যাঁরা সিম নিয়েছেন, তাঁদের নতুন করে আবার কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার) বা পরিচয়-ঠিকানার প্রমাণপত্র দিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক সংখ্যক গ্রাহকের সম্ভাব্য এই বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র টেলিকম সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, নতুন করে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার টেলিকম সচিব অরুণা সুন্দররাজন টেলিকম সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। বিকল্প কী উপায় বের করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে একটি সূত্রে খবর, সুন্দররাজন টেলিকম সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, গ্রাহকদের যাতে সবচেয়ে কম ভোগান্তি হয় এবং নতুন করে কেওয়াইসি দেওয়ার জন্য তাঁরা যাতে পর্যাপ্ত সময় পান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর পর আধার তথা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলাদা একটি বৈঠক করেন টেলিকম সচিব।

মোবাইল কানেকশন নেওয়ার ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করে কেন্দ্র। তার পর থেকে সব গ্রাহক আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন। রিলায়্যান্স জিও আবার শুরু থেকেই শুধুমাত্র আধার কার্ড দিয়েই মোবাইল কানেকশন দিয়েছে। তাঁদের কাছে অন্য কোনও তথ্যই নেই। অন্য টেলিকম সংস্থাগুলিতে পুরনো গ্রাহকরা পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো প্রমাণপত্র দিয়ে সিম নিয়েছিলেন।

কিন্তু তাঁদেরও ফের কেওয়াইসি দিতে হতে পারে। কারণ, আধার তথ্য পাওয়ার পর মোবাইল সংস্থাগুলি পুরনো তথ্য নষ্ট করে দিয়েছেন বলে মনে করছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন কেওয়াইসি না দিতে পারলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে মোবাইল কানেকশন।

অর্থাৎ কার্যত সবাইকেই ফের কেওয়াইসি জমা দিতে হতে পারে। গ্রাহকদের ফের পুরনো পদ্ধতিতে আধার ছাড়া অন্য প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। সে ক্ষেত্রে কত দিন সময় পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়নি। কবে নির্দেশিকা জারি হবে, সে বিষয়েও এখনও কিছু জানা যায়নি। টেলিকম সংস্থাগুলি জানিয়েছে, তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছে।

Bootstrap Image Preview