Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ শুক্রবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অসুস্থ মেয়েকে দেখার জন্য ছুটি দেননি বস, ক্ষোভে স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৯ PM
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দায়রা জজ জজ কৃষ্ণকান্ত শর্মার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করেন তার দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ। এরপর ওই বিচারককে মহীপাল ফোন করে বলেন, ‘আপনার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করেছি স্যার।’

শনিবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম শহরে ঘটে এ ঘটনা।

মঙ্গলবার দেহরক্ষী মহীপাল সিংয়ের চাচা জানান, অসুস্থ মেয়েকে দেখতে যেতে ছুটি চেয়েও পাননি মহীপাল। এর জেরে মানসিক ভারসাম্য হারায় সে।

মহীপালের চাচা দান সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার দিন স্ত্রীর কাছ থেকে অনবরত ফোন পেয়েছিলো মহীপাল। স্ত্রী তাকে বলেছিল মেয়েকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। কিন্তু ছুটি না দিয়ে উল্টো স্ত্রী ও ছেলেকে শপিংয়ে নিয়ে যেতে বলেন বিচারক।’

বিচারকের পরিবার মহীপালের সঙ্গে বাজে আচরণ করতো বলেও অভিযোগ করেন দান সিংহ।

জানা গেছে, গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। শনিবার বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মহীপাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহীপাল তাঁর সার্ভিস রিভলভার থেকে প্রথমে বিচারকের স্ত্রীর বুকে গুলি করেন, তার পর ছেলের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।ধ্রুবের মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। এর পরই ধ্রুবকে টেনে গাড়ির ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করেন মহীপাল। কিন্তু না পেরে তাঁদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চলে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিচারক কৃষ্ণকান্তের স্ত্রী রিতু মারা গেছেন। আর ছেলে ধ্রুব আছেন সংকটজনক অবস্থায়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করার পর ওই বিচারক ছাড়াও নিজের মা এবং আরও কয়েকজন পরিচিতকে ফোন করে বিষয়টি জানান মহীপাল। সন্ধ্যায় তাঁকেগুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়।

হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহীপালের বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। তাঁর স্ত্রী শিক্ষিকা। গ্রামবাসীরা জানান, মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছেন মহীপাল। বাবা মদ্যপ হওয়ার কারণে তাঁর জন্মের আগেই মা বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই জন্ম হয় মহীপালের। ছোটবেলা থেকেই খুব রাগী স্বভাবের তিনি। ২০০৭-এ হরিয়ানা পুলিশে যোগ দেন মহীপাল।

Bootstrap Image Preview