Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দক্ষিণ ভারতের চেয়ে অনেক ভালো পাকিস্তান: সিধু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০৩ PM
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ সভায় উপস্থিত হয়ে পাকিস্তানের সেনা প্রধানের গলা জড়িয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলেন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভোজ্যাৎ সিং সিধু। সেই বিতর্ক মিইয়ে যাওয়ার আগে ফের একবার পাকিস্তানের হয়ে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করলেন তিনি। এবারে তাঁর মন্তব্য, ‘দক্ষিন ভারতের চেয়ে অনেক ভালো ও অনেক বেশি উন্নত পাকিস্তান।’

একই সঙ্গে পাক সেনাপ্রধান শিখদের জন্য সীমান্ত খুলে দিলে তাকে শুধু আলিঙ্গন নয়, চুমুও খেতে রাজি বলে জানালেন সিধু। ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণেই পাকিস্তান তার কাছে বেশি পছন্দের বলে সাফ জানালেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের এই মন্ত্রী।

একটি সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠানে খোলামেলা বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিধু বলে বসলেন, দক্ষিণ ভারত যাওয়ার থেকে পাকিস্তান যাওয়া তার কাছে অনেক বেশি পছন্দের। ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণেই পাকিস্তান তার কাছে বেশি পছন্দের বলে সাফ জানালেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের এই মন্ত্রী। একই সঙ্গে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করার মধ্যেও  দোষের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন এই প্রাক্তন ভারতীয় টেস্ট ওপেনার।

হিমাচল প্রদেশের কসৌলিতে সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিতর্কে ইন্ধন জোগান সিধু।

তার বক্তব্য, ‘দক্ষিণ ভারতে গেলে দু’-একটা শব্দ ছাড়া আমি কিছুই বুঝতে পারি না। ইডলির মতো খাবার এক-দু’দিন চালানো যেতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। আর পাকিস্তানে গেলে পাঞ্জাবির পাশাপাশি ইংরেজি বলা যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের মিল অনেক বেশি।’

ইমরানের খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে দেশ জুড়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সিধু। তখন সিধুর এই সৌভ্রাতৃত্বের আলিঙ্গন ভালো চোখে নেননি ভারতের অনেকেই। মূলত বিজেপি শিবির থেকেই সমালোচনার তির ছুটে গিয়েছিল সিধুর দিকে। সিধুকে অবশ্য টলানো যায়নি কোনওভাবেই।

পরে তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাপ্রধান তাকে ভারতের শিখদের জন্য কর্তারপুর সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার দেখতে পাবেন ভারতের শিখরা, এই আনন্দের আতিশয্যেই স্বতস্ফূর্তভাবে পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে ফেলেছিলেন তিনি।

একই সঙ্গে সিধু জানিয়েছেন, ‘সীমান্ত খুলে দিলে  শুধু ‘ঝাপ্পি (আলিঙ্গন)’ নয়, প্রয়োজনে ‘পাপ্পি (চুম্বন)’-ও দেব পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে।’

Bootstrap Image Preview