Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কক্সবাজারে এক দিনেই উদ্ধার ২৯ কোটি টাকার ইয়াবা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৬ PM
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


কক্সবাজার,টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন থেকে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ৯ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টর্গাডের সদ্যসরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তানভীর জানান, রবিবার ( ৭ অক্টোবর) সকাল ৭ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন নোয়াখালী পাড়া সংলগ্ন সৈকত এলাকা দিয়ে ফিশিং ট্রলারে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচারের গোপন সংবাদে অভিযানে যায়।

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইয়াবাভর্তি বস্তা উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলোর খুলে গনণা করে ৬ লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৮ কোটি টাকা বলে জানায় পুলিশ।

(ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, উদ্ধার ইয়াবার চালান পাচারে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হবে।

এছাড়া একইদিনে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসাদুদ জামান চৌধুরী জানান, মিয়ানমার থেকে ফিশিং বোটে ইয়াবার চালান আসার সংবাদ পেয়ে শনিবার বিকালে নোয়াখালী পাড়া নৌ ঘাট পয়েন্টে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় কোন ইয়াবা উদ্ধার না হওয়ায় সারা রাত টহল দেয় বিজিবি। পরে সকালে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ইয়াবা ভর্তি বস্তা উদ্ধার করা হয়। পরে বস্তা খুলে গণনা করে ৬ কোটি ৩০ টাকা মূল্যের ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় ।

এদিকে শনিবার রাতে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন লে.কমান্ডার সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে একদল কোস্টর্গাড  সদস্যরা সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগরের অদূরে ইয়াবার চালান পাচারের গোপন সংবাদে অভিযানে গেলে সেন্টমার্টিন  দ্বীপের অদূরে একটি ইঞ্জিন চালিতকাঠের ট্রলার সংকেত দিলে তা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোস্টর্গাড  ধাওয়া করে।

তিনি আরো বলেন, ইয়াবা পাচারকারীরা ট্রলার থেকে দুইটি প্লাস্টিক জারিকেন সাগরে ফেলে দ্রুতগতিতে  মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।

তবে সাগরে ভাসমান অবস্থায় জারিকেন দুইটি উদ্ধার করে তা গণনা করে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে তা ধ্বংস করা হবে।

Bootstrap Image Preview