Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ রবিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৯ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাকৃবি জিটিআই পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রাকিবুল হাসান, বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০১ AM
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০১ AM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) পরিচালক অধ্যাপক এ.কে.এম. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী বয়ড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম শাহীন এ অভিযোগ করেন।

শফিকুল নামে ওই চাকরি প্রার্থী জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জিটিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আমাকে চাকরি না দিয়ে নিজের এক আত্মীয়কে সেই পদে বসিয়েছেন। এখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করছেন। এ বিষয়কে ধাঁমাচাপা দিতে সন্ত্রাসীর মাধ্যমে আমাকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। পরিচালকের কাছে ওই টাকা দেওয়ার সাক্ষী তার কাছে আছে বলেও জানান তিনি।

এ অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, শফিকুল একটি চাকরির জন্য আমার অফিসে ধরনা দিত। চাকরির না পেয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি। শফিক আমাকে বলেছে যে সে চাকরির জন্য বাকৃবি ছাত্রলীগকে টাকা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন পদে চাকরি দেওয়ার অধিকার একান্তই প্রশাসনের এখতিয়ারে। আর প্রশাসনিক কোনো কাজে ছাত্রলীগ যুক্ত নয়।

এছাড়াও একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি পরিচালক পদের প্রভাব খাটিয়ে এক আত্মীয়কে মাস্টাররোলে চাকরি প্রদান করেছেন অধ্যাপক এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ নেয়া, ট্রেনিংয়ের অর্থ আত্মসাৎ, চাকরিতে স্বজনপ্রীতি, সহকর্মী ও কর্মচারীদের সাথে দুর্বব্যবহার, ট্রেনিংয়ের গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  


সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়, এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম ছাত্রাবস্থায় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের শিক্ষকের সহায়তায় ২০১৭ সালের ২৫ মে জিটিআইয়ের পরিচালক হয়েছেন। এখন ক্ষমতাসীন দলের ওই সব শিক্ষকের সহায়তায় নানা ধরনের অপকর্ম করেও তিনি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন।
 
এছাড়াও জিটিআাই কর্মচারীদের অভিযোগ, অধ্যাপক এ.কে.এম. রফিকুল পরিচালকের  দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে  জিটিআইএ মোট ৬২ টি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। চাকরির সময়সূচির বাইরে এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করতে হয় আমাদের। অতিরিক্ত কাজ করায় আগের পরিচালকেরা একটা সম্মানী দিতেন। এখন অনেক সময় তাও দেওয়া হয় না, দিলেও সেটাকে সম্মানী বলা যায় না। এ ছাড়া সম্প্রতি জিটিআইয়ের ডরমিটরিতে ৪০টি নি¤œমানের খাট ক্রয় ও ব্যক্তিগত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে পরিচালক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেউ হয়ত ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

পরিচালকের এসব অনিয়মের ও টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলী আকবর বলেন, জনবল নিয়োগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের জন্য। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে পুঁজি করে কারো কোনো অনিয়ম বা অর্থ লেনদেনের করার কোনো সুযোগ নেই। যদি এ ধরণের কোনো কিছু হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

Bootstrap Image Preview