বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে গিয়েছিলেন ‘আইসক্রিম’-খ্যাত অভিনেত্রী নাফিজা তুষি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবেও মুখে মাস্ক না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে জরিমানা করেন।
তবে সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা চালু থাকায় সেখানে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিক্রিয়া জানান তুষি।
এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি তাকে (ম্যাজিস্ট্রেট) বলেছিলাম, আমার যদি কোনও পানিশমেন্টও হয় সাইডে গিয়ে কথা বলেন। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে সাইডে গিয়ে কথা বলছিলেন না; বিষয়টি বারবার ঘুরাচ্ছিলেন। আমি দেখছিলাম, সামনে ভিডিও করা হচ্ছে। আমি ফাইনও দিয়ে দিলাম।”
সেখানে পুলিশ সদস্যেরও মাস্ক ছিল না জানিয়ে তুষি বলেন, ‘অনেক মানুষের সামনে, অনেক ক্যামেরার সামনে আমাকে বারবার হ্যারাস করছিলেন। তখন আমি শাউট করে বলছিলাম, আমাকে হ্যারাস কেন করছেন? আমাকে ফাইন করেন, আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি। মেলায় আরও মানুষ ছিল, কোনও মাস্ক পরে নাই। ইনফ্যান্ট পুলিশদের মধ্যেও অনেকে মাস্ক পরে নাই। সেটাও বলছি না। কিন্তু আমার পারমিশন ছাড়া সেটা ক্যামেরায় কেন নেবেন?”
১৯ ফেব্রুয়ারির সে ঘটনায় নাজিফা তুষিকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার বলেন, ‘এটা একটি আদালত পরিচালনা হচ্ছে, এটা কোনও শুটিং নয়। আপনি স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা সেটা দেখছি। আপনাকে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ২৬৯ ধারা অনুযায়ী ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দিচ্ছি।’
পরে মাস্ক না পরার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে অর্থদণ্ড পরিশোধ করেন তুষি। জানান, জরিমানার জন্য উত্তেজিত হননি তিনি। নারী ও মিডিয়া কর্মী হিসেবে নিজের প্রাইভেসি রক্ষার চেষ্টা করছিলেন।
২০১৪ সালে একটি সৌন্দর্য বিষয়ক প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসেন তুষি। এর দুই বছর পর ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান। গত বছর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ শিরোনামে ওয়েব ফিল্মে কাজ করেও প্রশংসিত হন তিনি। ‘হাওয়া’সহ তার কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।