 
 
												    গ্রামের পুরুষ শূণ্য বাড়িগুলোকে লক্ষ্য বানিয়ে প্রতিদিনই চুরির ঘটনা ঘটান চোর চক্রের সদস্যরা। কিন্তু শুধু চুরি করেই ক্ষান্ত হননা তারা, শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন বাড়ির নারী সদস্যদেরকেও। ফলে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই ১৫ দিন যাবৎ রাত জেগে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা বসিয়েছেন গ্রামবাসী। কিন্তু তাতেও হচ্ছিলোনা তাদের লক্ষ্য উদ্ধার।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানী গ্রামের দু’টি বাড়িতে চোর চক্রের সদস্যরা চুরি করতে ঢুকলে তাদের ধাওয়া করেন পাহারারত গ্রামবাসী। এ সময় ধাওয়া খেয়ে গ্রামের চৌধুরীপাড়ার ছাইদুল হকের বাড়িতে আসে চারজন চোর। কিন্তু সেখানে আগে থেকে পাহারায় থাকা লোকজনের হাতে চোর চক্রের এক সদস্য কবির মোল্লা (৩০) ধরা পড়ে। তবে বাকি তিনজন পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় কবির মোল্লার।
নিহত কবির মোল্লার বাড়ি পটুয়াখালী সদরের বদেরপুর এলাকায়। সে দিনের বেলায় এক ঠিকাদারের অধীনে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস লাইনের ওয়েল্ডিং সহকারী হিসেবে কাজ করত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই-তিন মাস ধরে একটি চোর চক্র প্রায় প্রতি রাতেই কারও না কারও বাড়িতে ঢুকে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিল।
এছাড়াও মধ্যম মায়ানী গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, চোর চক্রের উৎপাতে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ ছিল। চুরির পাশাপাশি নারীদের গায়ে হাত দিত বলে গ্রামবাসীর ক্ষোভ ছিল বেশি। চোরদের ধরতে দুই সপ্তাহ ধরে এলাকায় রাতভর পাহারা চলছিল।
মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুল আলম বলেন, গণপিটুনিতে যুবক নিহতের খবর পেয়ে বুধবার (২৬ জুন) ভোরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। লাশের মাথায় দুটি ক্ষত ও দুই বাহুতে রশি দিয়ে বাঁধার দাগ ছিল।
এ বিষয়ে বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার রতন বড়ুয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা লোকজনের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পরবর্তীতে, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।