দিনাজপুরের বিরলে ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে একটি বস্তায় ভরা দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে । শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দুইটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, নিহত শিশু রিমন (৭) ও ইমরান (৩) বিরল পৌরসভার শংকরপুর এলাকার শরীফুল ইসলামের ছেলে। শরীফুল কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তিনি আইসক্রিম বিক্রি করেন। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর শরীফুলের খোঁজ করে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শিশুদের হত্যার পর তিনি পালিয়ে গেছেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।
প্রতিবেশীরা জানায়, শরীফুল ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। কিছুদিন আগে স্ত্রী এক পরিচিতের মাধ্যমে ঢাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। গত সপ্তাহে শরীফুলের কাছে একটি তালাকনামা পাঠিয়েছেন তিনি। এই পারিবারিক কলহের জেরে শিশু দুটি হত্যার শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান বলেন, সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন পেয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষে দুই শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহের কথা জানতে পারেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুদের নিখোঁজ বাবার সন্ধান চলছে এবং তার খোঁজ পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, শরীফুলের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, গত সন্ধ্যায় শীতের পোশাক কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন শরিফুল। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফিরলে তাকে মোবাইলে কল করেন তিনি। দিবাগত রাত আড়াইটায় শরীফুল তাকে বলেন, ছেলেদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছেন এবং নিজেও বিষ খাবেন। তবে কোথায় আছেন, তা না জানিয়ে ফোন কেটে দেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ।