শুভ কিবরিয়া।। গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়বো বাড়বো করছে। পানির দাম বাড়ার আওয়াজ কখন আসে তার ঠিক নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে বাড়তি খরচের বিপরীতে বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। বাজেট পেশের সময়ও সমাগত। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় এসে গেছে প্রায়। চলছে প্রচণ্ড গরম। দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমে গেছে পাউরুটি শিঙাড়া আর কেকের সাইজ। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়তেই আছে। বাজারের আগুন আর গ্রীষ্মের উত্তাপ যখন মানুষের জীবনে স্বস্তি প্রায় কেড়ে নিয়েছে ঠিক তখনই ৪ঠা জুন শনিবার ২০২২ রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ লাশের খবর নতুন মাত্রা এনেছে।
এই কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৫০ ঘণ্টা লেগেছে। দু’দিনেও আগুন নেভানো যায়নি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আগুন নেভাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১০ জন কর্মী অপারেশনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন। নিহতের সংখ্যা এই লেখা অবধি ৪৩ ছুঁয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। এই ঘটনার ফেসবুক লাইভ করতে গিয়েও এক তরুণের করুণ মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে তৈরি হয়েছে এই বিএম কন্টেইনার ডিপো। এটি একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। এটি নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানায় তৈরি হয়েছে ২০১১ সালে। আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহৃত কন্টেইনারের ব্যবস্থাপনা ও খালি কন্টেইনারের সংরক্ষণ করা হয় এখানে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো রপ্তানি পণ্য অথবা আমদানি করা পণ্য কন্টেইনারে করে এই ডিপোতে এনে জমা করা হয়। এরপর সেটি জাহাজে করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয় অথবা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলো এই ডিপোর জায়গা ভাড়া নিয়ে কন্টেইনার রাখে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপোগুলোর অন্যতম। সীতাকুণ্ডেই এরকম তিনটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বার্ট প্রঙ্ক কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই ডিপোতে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপের অংশীদারিত্ব রয়েছে। যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেটিও স্মার্ট গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আল রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের। পোশাক, এলপিজি ও খাদ্যপণ্য খাতে বিনিয়োগ রয়েছে স্মার্ট গ্রুপের।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিকানা ও সংশ্লিষ্ট মালিকদের ব্যবসা বাণিজ্যের যে খবর মিডিয়ায় আসছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এই ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট প্রফেশনাল। এই প্রাইভেট ডিপো ব্যবহার করে আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের একটা বড় অংশের কাজ-কারবার চলে। কিন্তু বিপদের কথা হচ্ছে, এই পেশাদারিত্বের আড়ালে এখানে যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের দাহ্য কেমিকেলের সংরক্ষণ ও আমদানি-রপ্তানি চলতো, সেই দাহ্য কেমিকেলের ব্যবস্থাপনায় কোনো পেশাদারিত্ব মানা হয়নি। সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগগুলো বিশেষ করে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় সবাই বলছে, এই কন্টেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নামের দাহ্য কেমিক্যাল রাখার কোনো লাইসেন্স বা অনুমতি নেই। ছিল না। অথচ এই কন্টেইনারের যারা মালিক সেই স্মার্ট গ্রুপের হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরির কারখানা রয়েছে চট্টগ্রামেই। তাহলে সরকারের সকল দপ্তর-অধিদপ্তর-পরিদপ্তর, বিভাগের অজান্তেই এই ঘটনা ঘটেছে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? যদিও চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর মিডিয়াকে বলেছে, বিএম কন্টেইনার ডিপো রাসায়নিক পদার্থ রাখার ব্যাপারে কখনো কোনো লাইসেন্স পায়নি। তাদের বক্তব্য, কন্টেইনার ডিপোগুলোকে অরেঞ্জ-এ, অরেঞ্জ-বি এবং রেড- এই তিন ধরনের ক্যাটাগরিতে তারা লাইসেন্স দেন। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা কোনো রাসায়নিক পদার্থ মজুতের জন্য রেড লাইসেন্স দেয়া হয়। আর এই রেড লাইসেন্স পেতে হলে অর্থাৎ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা অন্য কোনো রাসায়নিক পদার্থ মজুতের ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস এবং বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমতিপত্র নিতে হয়। সেই অনুমতিপত্রের ভিত্তিতে সেই প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ অধিদপ্তর রেড লাইসেন্স বা অনুমতি দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য- এখানে উন্নয়নের জোয়ারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত লাশের সংখ্যা বাড়ছেই কেবল। লঞ্চে, ফ্যাক্টরিতে, ডিপোতে, পরিত্যক্ত জাহাজে, ইটভাটায়, আগুনেই পুড়ছে হাজার হাজার প্রাণ। প্রবাস থেকেও আসছে প্রাণহীন শ্রমিকের লাশ। সড়ক-নৌ দুর্ঘটনায় যাচ্ছে প্রতিদিন প্রাণ
এই অগ্নিকাণ্ডে এত বিপুল প্রাণহানির পর স্বভাবতই কিছু প্রশ্ন উঠছে-
প্রথমত, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিপজ্জনক দাহ্য রাসায়নিক আনা-নেয়া বা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যে আন্তর্জাতিক প্রটোকল মানা প্রয়োজন ছিল তার অনেক কিছুই অনুপস্থিত বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এই ডিপোতে আগুন লাগলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার কোনো পূর্ব প্রস্তুতি যে এই প্রতিষ্ঠানের ছিল সেটার প্রমাণ মেলেনি। এ বিষয়ে কোনো মানসম্মত ব্যবস্থা, প্রশিক্ষিত জনবল, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতি দেখা গেছে প্রকটভাবে। সরকারি তদারকি সংস্থাগুলোর তরফে জানানো হয়েছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড সংরক্ষণ-পরিবহন-লোড-আনলোড করার কোনো অনুমতিও নাকি ছিল না এই ডিপোর। বলা বাহুল্য এটি আমাদের হাতেগোনা পেশাদার বেসরকারি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর অন্যতম একটি। তারই এই দুরবস্থা। তাহলে দেশে কেমিকেল উৎপাদন-পরিবহন-বিতরণ করা দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলে আদৌ কিছু আছে কি-না সেটা বড় সংশয়ের বিষয়। এই দুর্ঘটনা ঘটার পর ডিপোর কন্টেইনারে কি মালামাল আছে, কোনো বিপদজনক দাহ্য পদার্থ আছে কিনা, সেই ন্যূনতম অথচ অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটুকু দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো বিশেষ করে আগুন নেভানোর কাজে জড়িত ফায়ার সার্ভিসের কাছেও বিএম কন্টেইনার ডিপো সরবরাহ করতে পারেনি। শুধু এটুকু তথ্য হাতে পেলেও হয়তো ফায়ার সার্ভিসের এতজন কর্মীর এরকম করুণ মৃত্যু এড়ানো যেত। সব বিবেচনায়, বিএম কন্টেইনার ডিপো পেশাদার প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগুনজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তাদের প্রাথমিক দায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে, এই কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনজনিত কারণে মানুষের মৃত্যুকে কেউ কেউ যখন হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করছেন, সেটাকে অগ্রাহ্য করা যায় না।
দ্বিতীয়ত,বিপদ দেখলে ‘সব দোষ হয় নন্দ ঘোষের’। অন্যরা তখন ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে পড়ে! বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তরফে যেসব বক্তব্য এখন অবধি মিডিয়াতে এসেছে, তাতে এই নারকীয় মৃত্যুযজ্ঞে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সবাই নিজেদের দায়িত্ব বেমালুপ চেপে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিপজ্জনক কেমিক্যাল ডিপোতে রাখতে হলে রেড লাইসেন্স নিতে হয়। এই ডিপোর সেটা ছিল না। ভালো কথা। তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর সেটা এতকাল দেখেনি কেন? বিএম ডিপোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হাইড্রোজেন পার অক্সাইড উৎপাদন করে। চট্টগ্রামেই তাদের সেই কারখানা আছে। তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর কি এতকাল ঘুমিয়ে ছিল? নাকি দেখেও দেখেনি! অথবা তাদের সেই প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাই গড়ে ওঠেনি। নাকি, তারা ম্যানেজ হয়ে ছিল? সেসব প্রশ্ন ওঠা জরুরি। যদি প্রাতিষ্ঠানিক অক্ষমতা হয়ে থাকে, তাহলে সেটাও জরুরিভাবে দেখা দরকার। এত উন্নয়ন হচ্ছে, এত প্রজেক্ট হচ্ছে, এত নতুন নতুন অবকাঠামো গড়ে উঠছে, দেশি-বিদেশি ট্রেনিং চলছে, তারপরও সক্ষমতা গড়ে উঠছে না কেন? গলদ কোথায়? অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ, জনবল, ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন কোনটা আগে দরকার, সেটা এখন তাহলে একটা প্রায়োরিটির প্রশ্ন? সেটাও বিবেচনায় নেয়া দরকার। বিস্ফোরক পরিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ যারা এই তদারকির কাজে জড়িত তাদের সব রকম প্রাতিষ্ঠানিক অক্ষমতা, দুর্নীতি, অপেশাদারিত্বের বিষয় জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। কেননা, তদারকি সংস্থা এই দুর্ঘটনা ও তার কারণে সংঘটিত লাশের দায় কোনোমতেই এড়াতে পারে না।
তৃতীয়ত, সবচাইতে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাজের ক্ষেত্রে। ভিডিও ফুটেজে যতটুকু দেখা গেছে, তাতে যে তরুণটি এই অগ্নিকাণ্ডের ফেসবুক লাইভ করছিলেন তার সঙ্গে ওখানে আগুন নেভানোর কাজে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মুভমেন্টের বিশেষ তফাত চোখে পড়েনি। তারা খুব ক্যাজুয়ালভাবে আর দশটি আগুন নেভানোর মতোই স্বাভাবিক মুডে কাজ করছিলেন। কন্টেইনার ডিপোতে কি আছে সে বিষয়ে কোনো পূর্বানুমান এই অপারেশনে ছিল বলে মনে হয় না। এটা যে একটা বিশেষ জায়গা, এই আগুন যে একটি বিশেষ ধরনের আগুন, সেই চিন্তা এই ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অপারেশন ও পরিকল্পনার মধ্যে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে বলে মনে হয় না। তাদের যন্ত্রপাতি ও পোশাকেও সেই ছাপ দেখা যায়নি। পরে জানা গেছে, এরকম বিশেষ ধরনের আগুন নেভানোর বিশেষায়িত ব্যবস্থাদিও তাদের নাকি নেই! যদি সেটা হয়ে থাকে, তবে এর চাইতে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে? ফায়ার সার্ভিসের এত উন্নয়ন ঘটছে, জনবল-অবকাঠামো বাড়ছে, বরাদ্দ বাড়ছে অথচ তারা ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি আর ট্রেনিংয়ের অভাবে ভুগছে? তাহলে এই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কোন ক্ষেত্রে আগে দরকার, সেটা একটা প্রায়োরিটির প্রশ্ন, সেটা কী বিবেচনায় নেয়া হয়েছে? সেটাও ভাবা দরকার। মনে রাখতে হবে, সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নেভানোর কাজে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের যেসব কর্মী বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন, তাদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এই প্রতিষ্ঠান তার দায় এড়াতে পারবে না!
বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য- এখানে উন্নয়নের জোয়ারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত লাশের সংখ্যা বাড়ছেই কেবল। লঞ্চে, ফ্যাক্টরিতে, ডিপোতে, পরিত্যক্ত জাহাজে, ইটভাটায়, আগুনেই পুড়ছে হাজার হাজার প্রাণ। প্রবাস থেকেও আসছে প্রাণহীন শ্রমিকের লাশ। সড়ক-নৌ দুর্ঘটনায় যাচ্ছে প্রতিদিন প্রাণ। তাজরীন গার্মেন্ট, রানা প্লাজা, নারায়ণগঞ্জের জুস কারখানা, নিমতলী, চকবাজার- বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। এসব ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের সঠিক বিচার হচ্ছে না। কখনো কখনো বিচার হলেও বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতারই সৃষ্টি করছে। দোষীদের অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয়ে বিচার এড়াচ্ছেন। বিচারহীনতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্তি দিচ্ছে। ফলে, দুর্ঘটনা প্রতিরোধের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা কাটছে না। মানুষ আরও বেশি করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে, এসব ঘটনায় যারা প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের সিংগভাগই ব্রাত্য মানুষ, প্রান্তিকজন, গরিব-ক্ষমতাহীন। ফলে, গণমানুষের এই লাশ দু-চারদিন জনসহানুভূতি পেলেও, এসব ঘটনার হোতারা, রাজনৈতিক শক্তিতে-আর্থিক শক্তিতে পার পেয়ে যাচ্ছে। সস্তা লাশের পৌনপৌনিক উৎপাদন তাই থামছে না...।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক। [email protected]
-লেখাটি দৈনিক মানবজমিন থেকে সংগৃহীত