Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ শুক্রবার, নভেম্বার ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে কারণে ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষকে হত্যা করে গৃহপরিচারিকারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৫৪ PM
আপডেট: ০২ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার বাসার দুই গৃহপরিচারিকা রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপনা। 

বাসায় থাকা ২০ ভরি স্বর্ণ, একটি স্যামসাং মোবাইল এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুই গৃহপরিচারিকাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউ মার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার। মামলাটির শুনানির জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, মামলার আসামি রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপনা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ময়নাতদন্ত ও জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে ভিকটিম মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার আসামি রুমা ওরফে রেশমা (২৫) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে (৬৬) নাক মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বিশ ভরি স্বর্ণ, একটি স্যামসাং মোবাইল এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করে। প্রমাণ হিসাবে তার কাছ থেকে ওয়ালটন মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

আসামি রিমা আক্তার ওরফে স্বপ্না (৩৭) মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে কাজের বুয়া হিসাবে যোগদান করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে নাক মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নগদ টাকা, স্বর্ণলঙ্কার, মোবাইল চুরি করেছেন।

প্রমাণ হিসাবে তার হেফাজত থেকে নগদ সাত হাজার টাকা, একটি গোলাপী রংয়ের ভ্যানিটে ব্যাগ, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্যামসাং জে-৭ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

আপ্রাণ চেষ্টা করেও এজাহারে উল্লিখিত অন্যান্য চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মামলার সন্দিগ্ধ আসামি রুনা আক্তারি ওরফে রাকিবের মা (৪৭) বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তাই গ্রেফতারকৃত আসামি রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপনার বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনের ৪১৯/৩৮১/৩০২/৩৪/৪১১ ধারার আদালতে প্রকাশ্যে বিচারের নিমিত্তে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।

রুনু আক্তার ওরফে রাকিবের মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের প্রার্থনা করলাম। মামলার বাদী, সাক্ষী, আলামত মামলার ঘটনা সত্যতা প্রমাণ করবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সুকন্যা টাওয়ারে নিজ বাসা থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়।

পরদিন সকালে পলাতক দুই গৃহপরিচারিকা রুমা ওরফে রেশমা ও রিক্তা আক্তার ওরফে স্বপ্নাসহ তিনজনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদের গামা।

আসামিরা বিশ ভরি স্বর্ণ যার আনুমানিক মূল্য দশ লাখ টাকা, একটি স্যামসাং জে-৭ মোবাইল সেট যার আনুমানিক মূল্য ষাট হাজার টাকা এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

মামলার পর স্বপ্না, রেশমা ও তাদের জোগানদাতা রুনু বেগম ওরফে রাকিবের মাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। স্বপ্না ও রেশমা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে।

Bootstrap Image Preview