জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করার কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না। ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে দেয়া বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত একসংবাদ সম্মেলনে তিনি এদুঃখ প্রকাশ করেন।
কয়েকদিন আগে বেসরকারি সময় টেলিভিশনের এক টকশোতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। ডা. জাফরুল্লাহর সেই মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অসত্য ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করে প্রতিবাদপত্র পাঠায় সেনাসদর দফতর।
ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সময় টেলিভিশনের টকশোতে আলোচনাকালে আমি দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম। জেনারেল আজিজ একজন দক্ষ আর্টিলারি সেনা কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ‘জিওসি’ ছিলেন না, ‘কমান্ডেন্ট’ও ছিলেন না। তিনি তার কর্মজীবনের একসময় চট্টগ্রাম সেনাছাউনিতে আর্টিলারি প্রশিক্ষক ছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘তার (জেনারেল আজিজ) বিরুদ্ধে ‘কোর্ট মার্শাল’ হয়নি, একবার ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ হয়েছিল। ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সেনাবাহিনী বা জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না এবং এরূপ কোনো অভিপ্রায়ও আমার নেই। আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরবে আমি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কালাতিপাত করেছি। তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়েছি এবং যুদ্ধ শেষে আমিই প্রথম কুমিল্লা কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল চালু করি। পরে আমি ও ডা. আজিজুর রহমান ঢাকা কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল চালু করি।’
জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করার কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না। জেনারেল আজিজকে আমি অসাবধানতাবশত কোনো মনোকষ্ট দিয়ে থাকলে সে জন্য আমি পুনরায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ।