Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচন কমিশনার বরাবর মহিলা পরিষদের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:১৯ PM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ ১১ অক্টোবর ২০১৮ বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সাথে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করে নেয়ার জন্য, বিশেষ করে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দলসমূহের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম, সহসভাপতি রেখা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ ও সীমা মোসলেম, সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম ও ডিরেক্টর অ্যাডভোকেসি এন্ড লবি জনা গোস্বামী।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, রাজনৈতিক দলের সকল প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মহিলা পরিষদ দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৩৩% নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দানের দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আরপিও অ্যাক্ট (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ২০০৯ এর ৯০নং ধারায় ‘২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ দলের সকল কমিটিতে নারীদের জন্য কমপক্ষে ৩৩% আসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করা হয়:

সংসদে মোট আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৪৫০-এ উন্নীতকরণ, যাহার মধ্য থেকে ৩০০টি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য ১৫০টি সংরক্ষিত আসন রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পাশাপাশি দুইটি সাধারণ নির্বাচনী এলাকাকে একত্রিত করে সংরক্ষিত আসনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এই আসনে নারী-পুরুষ উভয়ের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে (সাধারণ আসনের মতো) নির্বাচন হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ২০০৯-এর ৯০ নং অনুচ্ছেদ কার্যকর করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সকল শাখায় ৩৩ শতাংশ নারীকে অর্ন্তভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কোন রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে মনোয়ন বাণিজ্য চালাতে না পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।

Bootstrap Image Preview