Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশকে লাল-সবুজ রঙের জার্সিতে দেখতে চাই, পাকিস্তানি জার্সিতে নয়: জাফর ইকবাল

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ০৬:৩৩ PM
আপডেট: ০১ মে ২০১৯, ০৬:৩৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দেশের সবাই কি জানে আমাদের দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাকিস্তানি ভূতেরা বসবাস করে? আমি তার অকাট্য প্রমাণ একবার পেয়েছিলাম ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ যখন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ আয়োজন করা হয়েছিল। আমি তাদের ছবি দেখে আতঙ্কে চমকে উঠেছিলাম, সবার মাথায় সবুজ বেসবল ক্যাপে পাকিস্তানি সাদা চাঁদতারা।

খুব কাছ থেকে দেখে আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং নিচের লেখাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেন একটু দূর থেকেই সেটাকে পাকিস্তানি চাঁদতারা মনে হয়! এটি কি কাকতালীয় একটা ঘটনা?

মোটেও নয়, যত দূর মনে পড়ে সেবার একজন স্পন্সর ছিল ইসলামী ব্যাংক এবং নিশ্চিতভাবে সেটি ছিল তাদের খুশি করার একটা চেষ্টা। সেবার যখন প্রায় আড়াই লাখ শিশু-কিশোর জাতীয় সংগীত গাইছিল তখন সবার মাথায় পাকিস্তানি চাঁদতারার সেই ছবি দেখে নিশ্চয়ই এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসবাসকারী পাকিস্তানি ভূতেরা আনন্দে অট্টহাসি করে উঠেছিল।

তারা আবার আনন্দে অট্টহাসি করে উঠেছে কারণ এবারে বিশ্বকাপের জার্সির রং সেই পাকিস্তানি সবুজ এবং সাদা! যারা এই জার্সি তৈরি করেছেন তাঁরা কি জানেন না, আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজ?

এ দেশের একটি শিশু পর্যন্ত কিছু একটা আঁকতে হলে সেখানে সবার আগে লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করে! আমাদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জার্সিতে লাল রংটুকু কোথায়?

তাঁরা কি জানেন না যে আমাদের জাতীয় পতাকার মাঝখানের লাল রংটি শুধু একটি রং নয়, এটি এর চেয়ে অনেক বড় একটা কিছু? এই লাল রংটি যে আমাদের আপনজনের বুকের রক্ত দিয়ে রং করা হয়েছে তাঁরা সেটি জানেন না?

আমাদের বিশ্বকাপ দলের এই পাকিস্তানি জার্সিটির আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি। সারা পৃথিবীর মাত্র ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপ খেলবে। খেলার মাঠে আমরা তাদের লাল-সবুজ রঙের জার্সিতে দেখতে চাই, পাকিস্তানি জার্সিতে নয়।

এর সঙ্গে আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে থাকা এই পাকিস্তানি ভূতদের পরিচয় জানতে চাই। তারা কারা?

লেখক: অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

প্রসঙ্গত, লেখক, পদার্থবিদ, ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর, সিলেটে। তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ। মা আয়েশা আখতার খাতুন। আয়েশা ফয়েজ নামে তিনিও লেখালেখি করেন। বড় ভাই প্রয়াত কথাসহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। আর ছোট ভাই আহসান হাবীব রম্য ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক, লেখক ও কার্টুনিস্ট। তাঁর স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

Bootstrap Image Preview