Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নতুন ১৭২ বই নিয়ে বসন্ত নেমেছে গ্রন্থমেলায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৪৮ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫০ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ বিডিমর্নিং


মাঘ বিদায় নিয়েছে গতকাল। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ পয়লা ফাল্গুন। প্রকৃতিতে লেগেছে রঙের ছোঁয়া। চারদিকে তরুণ-তরুণীদের সাজ সাজ রব। খোঁপায় হলুদ গাঁদা, মাথায় ফুলের টায়রা আর শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে পলাশ-শিমুলের রং। এ যেন অন্যরকম এক ভালোলাগা। বসন্তের এই বর্ণিল সাজে পাল্লা দিয়ে সেজেছে আজ অমর একুশে গ্রন্থমেলা। আর বইপ্রেমীদের কাছে বসন্তের উপহার হিসেবেও এসেছে প্রায় শ'খানেক বই। 

ফাল্গুনের রং মেখে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেলায় নতুন বই এসেছে ১৭২টি। এর মধ্যে গল্প ২৬, উপন্যাস ২৭, প্রবন্ধ ১৭, কবিতা ৬৩, ছড়া ২, শিশুসাহিত্য ৭, জীবনী ৩, মুক্তিযুদ্ধ ২, নাটক ১, বিজ্ঞান ১, ভ্রমণ ৪, ইতিহাস ২, স্বাস্থ্য ১, অনুবাদ ২ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপরে আরও ১৪টি নতুন বই।

এসব বইয়ের মধ্যে সন্‌জীদা খাতুনের ‘নজরুল মানস’ (নবযুগ), আন্দালিব রাশদীর ‘যে রাতে আমার স্ত্রী’ (পেন্সিল), ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ‘সেরা গল্প’ (পাঞ্জেরী), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সময় বহিয়া যায়’ (কথাপ্রকাশ), শাহাদুজ্জামানের ‘গুগলগুরু’ (মাওলা ব্রার্দার্স), জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের ‘বাঙালি জীবনের চলাচল’ (পুঁথিনিলয়), মোহসেন আল-আরিশির ‘শেখ হাসিনা : যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ (বাংলা একাডেমি), মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘সপ্তর্সির জন্যে কবিতা’ (বটেশ্বর বর্ণন) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কবি রফিক আজাদ: শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি অসীম সাহা, কবি ফারুক মাহমুদ এবং কবি জাফর আহমদ রাশেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার। 

আলোচনায় বক্তারা বলেন, রফিক আজাদ বাংলা কবিতায় এক অনিবার্য নাম। তার কবিতা ব্যক্তিক ও সমষ্টিক বোধের ধারক। শব্দকে কী করে চেতনার গভীরতম উপলব্ধির বাহক করে তোলা যায়- রফিক আজাদের কবিতা তার এক শৈল্পিক দৃষ্টান্ত। তিনি সামরিক শাসনের বুটের তলায় চাপা পড়া জীবন-যৌবনের রুদ্ধদ্বারকে মুক্ত করার সাধনা করেছেন কবিতায়।

তারা বলেন, রফিক আজাদ একজন বিরল সম্পাদকও বটে। বাংলা একাডেমির সাহিত্যপত্র ‘উত্তরাধিকার’, ‘রোববার’, ‘ঘরে বাইরে’ ইত্যাদি সাময়িকপত্র সম্পাদনার মধ্য দিয়ে তিনি নবীন লেখকের স্বর আবিষ্কার করেছেন। গদ্যে ততোটা সক্রিয় না হলেও তার আত্মজীবনী ‘কোনো খেদ নেই’ বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি ভুবনের এক প্রামাণ্য দলিল হয়ে রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে রশীদ হায়দার বলেন, রফিক আজাদ মানেই জীবন, তারুণ্য ও সুন্দরের প্রতি পক্ষপাত। তার মতো বিশুদ্ধ কবির আবির্ভাব বাংলাদেশের কবিতার জগতকে করেছে ঋদ্ধ। কবিসত্তার বাইরে তার ব্যক্তিসত্তাও ছিল সমান আকর্ষণীয়। ব্যক্তিগতজীবনে তার মতো দেশপ্রেমিক, বন্ধুবৎসল, উদার-মানবিক মানুষের সন্ধান পাওয়া সত্যিই কঠিন ব্যাপার।

আলোচনা শেষে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি মুহাম্মদ সামাদ ও টোকন ঠাকুর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম ও নাসিমা খান বকুল। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফেরদৌস আরা, কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়, মিজান মাহমুদ রাজীব, ফারহানা শিরিন ও তানজিনা করিম স্বরলিপি। নৃত্য পরিবেশন করেন সৌন্দর্য প্রিয়দর্শিনী ঝুম্পার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘জলতরঙ্গ ডান্স কোম্পানি’-এর নৃত্যশিল্পীরা।

Bootstrap Image Preview