সেপ্টেম্বরে লন্ডনে অন্তত ৪ টি কোম্পানির মালিক বলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরও প্রকাশ পেয়েছে। এসব খবরে চটে যান তিনি। এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তাকে নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে অভিযোগে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাসও দেন।
এবার ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বিভিন্ন দুর্দশার কথা জানিয়েছে ফেববুকে এক চাঞ্চল্যকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া তার ওই স্ট্যাটাসটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই স্ট্যাটাসে সময়ের অদৃষ্ট কাল বিলাই চাটে বাঘের গাল বাংলা প্রবচনটি ব্যবহার করে বোঝাতে চেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেন নেতাদের সময় এখন এতোই খারাপ যাচ্ছে যে, তাদের প্রবল শত্রুরাও এখন মিত্রতে পরিণত হচ্ছে।
সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ফেসবুক পোস্টটি যুগান্তর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘ইস্ত্রি করা চকচকে কাপড় পরে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় বর্তমান পলিটিশিয়ানদের সাথে তাল মিলিয়ে , সচিব ডিজিদের স্যার ডাকতে পারেনা কেউ কেউ। কাজ করার আগেই পার্সেন্টেইজ দিতে পারে না অনেকেই। বাসায় গিয়ে বউ এর লগে গপ্প মারে - আজকেও গণভবনে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসলাম অথচ পাশ যে ব্যাক্তি দেয় সে কিন্তু ফোনও ধরেনি।’
তিনি আরো লেখেন, ‘কোনো ভাবে টিভিতে নিজের চেহারাটা দেখানোর যুদ্ধে নব্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পেরে ওঠেনা অনেকেই। সর্বস্ব বিক্রি করে হলেও ভালো থাকার অভিনয় করতে হয়। অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বড় নেতাদের উপঢৌকন দেয়ার প্রতিযোগিতায় না পেরে ওঠার কারণে কোনো মন্ত্রীর বা নেতার আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পারে না। বর্তমানদের ব্যাপারেও নিজস্ব মতামত দিতে পারে না যদি কেউ মাইন্ড করে।’
এরপর নাজমুল লেখেন, ‘ওপরের মানুষগুলোর নাম সাবেক ছাত্রনেতা! তবে বাটপার একটা শ্রেণী আছে যারা শুধু ড্রইংরুম পলিট্রিকস করে মিথ্যা ইতিহাসের আশ্রয় নিয়ে বাগিয়ে নিয়েছে অনেক কিছু। ২০০৮ সালের পরে আসলে সাবেক ছাত্রনেতার সংজ্ঞাটিও বদলে দিয়েছে অনেকে। কোথাকার কোন বালেশ্বর সেও সাবেক ছাত্রনেতার কোটা চায়।’
সবশেষে তিনি উপমা দেন এই প্রবচন লিখে, ‘কথায় আছে সময়ের অদৃষ্ট কাল বিলাই চাটে বাঘের গাল।’