Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৌসুমে সব রেকর্ড ভাঙল পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:২২ PM
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:২২ PM

bdmorning Image Preview


মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটার পরও সারা দেশে বেড়েছে কুয়াশা, সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস। হিমেল হাওয়ায় এখনো অনেক অঞ্চলের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে। জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন  তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় কুয়াশা ও হিমালয়ের হিম বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের প্রভাবে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। প্রতিদিন উত্তরের হিমেল বাতাসে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করছে তাপমাত্রা। তবে দিনের তুলনায় রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সূত্র জানায়, সোমবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, ঠাণ্ডার সঙ্গে গত ছয় দিনের মধ্যে সূর্যের দেখা মেলে গত সোমবার। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সূর্য দেখা যায় দুপুরের দিকে। রবিবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের অধিকাংশ সময় প্রায় একই রকম তাপমাত্রা থাকছে।

রবিবার বিকেল ৩টায় পঞ্চগড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার পৌষের প্রথম দিন থেকেই পঞ্চগড়ে জেঁকে বসে শীত। এর সাথে সাথে উত্তুরে হিমালয় থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে। ঘন কুয়াশা আর উত্তরে বাতাসে পঞ্চগড়ের সর্বত্র এখন হাড়কাপা শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পথ ঘাট। থেকে থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশপাত চলছে। ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে চলায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। জীবিকার তাগিদে যারা বের হচ্ছেন মোটা সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট পড়ে বের হচ্ছেন। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।

মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকূলেও শীতের প্রভাব পড়েছে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের অভাবে তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতের প্রকোপ আর ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে ক্রমেই শীতজনিত রোগের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গরম পোশাকের দোকানগুলোতেও বেড়েছে ভিড়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুস্থ শীতার্তদের দেওয়া হচ্ছে শীতবস্ত্র। তবে তা জেলার বিরাট অঙ্কের শীতার্তের তুলনায় খুবই কম। উত্তরে হিমালয় কাছে হওয়ায় বরাবরই পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ একটু বেশিই থাকে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পঞ্চগড়ে মাপমাত্রা নেমে এসেছিলো সবচেয়ে কমে। সেদিন পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

Bootstrap Image Preview