Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বকাপে ফুটবলারদের মুখে ফেসগার্ড কেন?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৯ PM আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


দিন যতই গড়াচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের উত্তেজনার মাঝে একটি বিষয় নজর কেড়েছে সবার। তা হলো, কয়েকজন ফুটবলার খেলছেন বিশেষ ফেসগার্ড পরে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিউং-মিন, বেলজিয়ামের থমাস মিউনিয়ার, ক্রোয়েশিয়ার ইয়াসকো গভার্দিওল এবং তিউনিসিয়ার ইলাইয়েস এসখিরির মতো ফুটবলারদের টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই সুরক্ষা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দকও টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটা পরেছেন।

তবে এগুলো ফ্যাশনের জন্য নয়, আঘাতপ্রাপ্ত মুখের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয়; অনেকটা বাধ্য হয়েই চেহারা আড়াল করে খেলছেন ফুটবলাররা।

কেন ফেসগার্ড?

যেসব ফুটবলার এই সুরক্ষা নিয়ে খেলছেন, তাদের সবাই সম্প্রতি মুখে আঘাত পেয়েছেন। এই গার্ডে রয়েছে পলিকার্বোনেটের মতো কিছু উপাদান এবং হাই-টেক প্রোটেক্টিভ ডিভাইস।

এটি পরে মুখে আঘাত নিয়েও ম্যাচ খেলতে পারেন ফুটবলাররা। তাদের মুখমণ্ডলের আকৃতি স্ক্যান করে থ্রিডি প্রযুক্তিতে তৈরি এই ফেসগার্ড।

ফুটবলাররা কী বলেছেন?

টটেনহ্যাম তারকা সন হিউং-মিন দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী খেলোয়াড়। কাতার বিশ্বকাপে দলের প্রধান আশা ছিলেন তিনি।

টুর্নামেন্টের আগে দক্ষিণ কোরিয়ান এই ফরোয়ার্ড চ্যাম্পিয়নস লিগের একটি ম্যাচে আঘাত পেয়েছিলেন। টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে সেদিন মার্সেইয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন সন হিউং-মিন।

ম্যাচের একপর্যায়ে নিউক্যাসলের সাবেক ডিফেন্ডার চ্যান্সেল এমবেম্বার কাঁধের সঙ্গে সনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চোখের কোটরের হাড় ভেঙে যায় দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ডের। এই আঘাতে বিশ্বকাপে নামাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সনের। তবে সব পলিকার্বোনেটের তৈরি থ্রিডি ফেসগার্ডে তাকে ফিরিয়ে আনে কাতারের মাঠে।

সন বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ এই গার্ড পরে খেলেছেন। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে জয়ে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এই জয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছিল।

সন কালো কার্বন ফাইবারের তৈরি মাস্ক পরেছেন। তার ভাষ্য, ফেসগার্ডটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক।

৩০ বছর বয়সী তারকা বলেন, ‘এটি খুবই চমৎকার উপাদানে তৈরি। হালকা এই গার্ড মুখের সঙ্গে শক্ত হয়ে এঁটে থাকে। আসলে এটি আমার কল্পনার চেয়েও যথেষ্ট হালকা।’

Bootstrap Image Preview