ঐতিহাসিক মারাকানায় ৭১ বছর ধরে অপরাজিত স্বাগতিক ব্রাজিল। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে হেরেছিল তারা। সেই ম্যাচটি এখনও মারাকানা ট্র্যাজেডি হিসেবে পরিচিত। তাই কোপা আমেরিকা ফাইনালে জিততে হলে নতুন ইতিহাসই লিখতে হবে আর্জেন্টিনাকে। সেই মিশনে প্রথমার্ধে নিজেদের কাজটা ভালোভাবেই সেরেছে আলবিসেলেস্তেরা। তারকা ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে লিড নিয়েই বিরতিতে গেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন আর্জেন্টিনা ১-০ ব্রাজিল।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে সাজানো প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে দুই দল প্রায় সমানে সমান। প্রথম ৪৫ মিনিটে ৫৪ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের পায়ে। গোলের উদ্দেশ্যে অন্তত ৬টি শটও করেছে তারা। কিন্তু লক্ষ্যে ছিল মাত্র ১টি। সেটিতেও মেলেনি গোল।
এই লিঙ্কে ক্লিক করে অনলাইনে দেখুন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল
অথবা সরাসরি https://sportzonline.to/channels/pt/sporttv2.php সার্চ করুন।
অন্যদিকে ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় রদ্রিগো ডি পলের দুর্দান্ত থ্রু বলে ব্রাজিলের অফসাইড ফাঁদ ভেঙে ঢুকে পড়েন ডি মারিয়া। বুদ্ধিদীপ্ত চিপ শটে সামনে থাকা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন এ তারকা ফরোয়ার্ড।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ডি মারিয়ার এটি ২১তম, কোপা আমেরিকায় চতুর্থ এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথম গোল।
এই লিঙ্কে ক্লিক করে অনলাইনে দেখুন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল
ম্যাচের একদম শুরুতেই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার গনজালো মন্টিয়েলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিল মিডফিল্ডার ফ্রেড। প্রথমার্ধে এই একবারই পকেট থেকে কার্ড বের করতে হয়ে ম্যাচের রেফারি এস্তেবান ওস্তোজিচকে।
পঞ্চম মিনিটে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল রক্ষণে বল পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেটিতে কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি তারা। শুরুর মিনিট দশেক মাঝমাঠের দখল নিতেই কাটিয়ে দেয় দুই দল। তাই সে অর্থে বলার মতো কোনো আক্রমণ হয়নি তখন।
তেরতম মিনিটে গিয়ে গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নেন নেইমার। রিচার্লিসনের ব্যাক পাসে পাওয়া বলে হাফ ভলিতে শট করেছিলেন নেইমার। তবে সেটি ব্লক করে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি। পরের মিনিটে ক্যাসেমিরোর ফাউলে মাঝমাঠে প্রথম ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা, কাজে লাগেনি সেটি।
২০ মিনিটের মাথায় নেইমারের পাস থেকে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন রিচার্লিসন। এবার ব্লক করেন এ ম্যাচ দিয়েই দলে ফেরা ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। ফাইনালের জন্য আর্জেন্টিনা একাদশে আনা পাঁচ পরিবর্তনের অন্যতম ছিলেন রোমেরো। নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতেও সময় নেননি তিনি।
এর দুই মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। অফফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড নিকোলাস গনজালেজকে বসিয়ে ফাইনালের শুরুর একাদশে ডি মারিয়াকে জায়গা দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই ডি মারিয়াই দলকে এনে দিয়েছেন প্রথম সাফল্য।
গোল খেয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে ব্রাজিল, বাড়িয়ে দেয় আক্রমণের মাত্রা। বিশেষ করে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। কিন্তু ডি-বক্সে সেটিতে যথাযথ হেড করতে পারেননি মার্কুইনহোস, থিয়াগো সিলভারা। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয়েছে স্বাগতিকদের।