
 
												    রবিবার মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরুল কায়েস। এমন সেঞ্চুরিকে নিজের সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সেঞ্চুরি প্রতিক্রিয়ায় জানালেন নিজের প্রতি বিশ্বাস আর পরিশ্রমই তার এই সাফল্যের মূলমন্ত্র।
রবিবারের ম্যাচে দলকে শুরু থেকেই পথ দেখিছেন কায়েস।মাঝপথে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানো দল যখন দিশেহারা তখন সাইফউদ্দীনকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ১২৭ রানের নতুন রেকর্ড জুটি গড়ে তুলেছেন। এই পার্টনারশিপটিই দলের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।ইমরুল কায়েস এদিন খেলেছেন ১৪০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস। ১৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছক্কা। যা দলীয় স্কোরকে পৌঁছে দেয় ২৭১ রান।
ম্যাচশেষে ইমরুল বলেছেন,‘আমার সঙ্গে অনেক ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে। তারা এখনও খেলেছে। আবার এমন ক্রিকেটারেরও অভিষেক হয়েছে তারা এখন দৃশ্যপটেও নেই। আমার কাছে মনে হয় যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি যে আমার ক্যারিয়ারে এত দ্রুত শেষ হতে পারে না। আমি সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখি। যতদিন খেলব, জাতীয় দলে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখি। যেদিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকবে না, নিজেই বলব থ্যাংক ইউ।’
দলে বারবার আসা যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারে আপ অ্যান্ড ডাউন থাকবেই। কেউ ভালো খেলবে, আবার ভালো খেলতে খেলতে খারাপ খেলবে। এভাবেই ক্যারিয়ার হয়। কেউ কখনও একই ধারাবাহিকতায় টানা খেলতে পারে না। আমারটা হয়ত একটু ভিন্ন হয়ে গেছে। অন্য কেউ এসে ভালো খেলে ফেলেছে, এজন্য আমার হয় নাই। এখন আমি ওগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। দেশের হয়ে খেলায় ভালো অনুভূতি কাজ করে, সুযোগটার জন্য তাই অপেক্ষা করি এবং কঠোর পরিশ্রম করি।’
সাফল্যের মূলমন্ত্র হিসেবে মুশফিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি কেউ যদি কষ্ট করে তবে সাফল্য অবশ্যই আসবে। আমি এটা সব সময় বিশ্বাস করি। আমি মুশফিককে নিয়ে অনেক কিছু শিখি। ও যেভাবে কষ্ট করে, ও কিন্তু কষ্ট করে মুশফিকুর রহীম হয়েছে। আমি সব সময় এটা বিশ্বাস করি যে কষ্ট করতে তার ফল পাওয়া যায়।’
