এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল এফেয়ার্সের টিম লিডার গোবিন্দ বর কর্তৃক মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার ভয়াবহ অপব্যবহার করে ভয়-ভীতি প্রদান এবং মানবাধিকার হরণের অব্যাহত প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
শুক্রবার (৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক গণস্বাক্ষর বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
এতে বিশিষ্টজনরা অভিযোগ করেন, বিয়ের নামে প্রতারণা, যৌতুকের দাবি এবং জোরপূর্বক বিবাহবিচ্ছেদের চাপ সইতে না পেরে সাধনা মহল আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তার প্রাক্তন স্বামী গোবিন্দ বর মিথ্যা অভিযোগ-অপবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সাধনা মহলকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছেন এবং দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আইনি হয়রানি করাচ্ছেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সাধনা মহলের পক্ষে দাঁড়ালে লেখক ও গবেষক রেজাউর রহমান লেনিন, মানবাধিকার আইনজীবী রওশন আরা লিনা ও সাংবাদিক ইসমাইল আহসানকেও একই পন্থায় দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৯ এবং ৩১ ধারায় অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেছেন গোবিন্দ।
তারা বলেন, দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইনে তদন্তসহ সাম্প্রতিক সময়ে হয়রানির শিকার সব অভিযুক্তের সঙ্গে ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষায় সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা একইসঙ্গে এ ধরনের নিবর্তনমূলক আইনে মামলা দায়েরের মাধ্যমে মানবাধিকার কর্মকাণ্ড এবং ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধের জোর দাবি জানাই।
গণসাক্ষর বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছে ইশরাত জাহান (বন্দিনী পুনর্বাসন উদ্যোগ), অধরা ইয়াসমিন (সাংবাদিক, ঢাকা), মঞ্জিলা ঝুমা (আইনজীবী), মো. আব্দুল কাইয়ুম (সাংবাদিক, ময়মনসিংহ), ফজলে এলাহী (সাংবাদিক, রাঙামাটি), আবু তৈয়ব (সাংবাদিক, খুলনা), শফিকুল ইসলাম কাজল (ফটোসাংবাদিক, লন্ডন), সিরাজাম মুনিরা (শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়), দিদারুল ভূঁইয়া (রাজনৈতিক কর্মী), মাইদুল ইসলাম (পিএইচডি গবেষক, যুক্তরাষ্ট্র), দিলীপ রায় (বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী), কনক সারওয়ার (সাংবাদিক, যুক্তরাষ্ট্র), শামীম আশরাফ (সংস্কৃতিকর্মী, ময়মনসিংহ), আহমেদ কবির কিশোর (কার্টুনিস্ট, সুইডেন), এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান (শিক্ষক, মালয়েশিয়া), রিতা দেওয়ান (বাউল শিল্পী, মানিকগঞ্জ), শরিয়ত বয়াতি (টাঙ্গাইল), হোসাইন তৌফিক ইফতেখার (সাংবাদিক, চট্টগ্রাম), শাহনেওয়াজ চৌধুরী (মানবাধিকারকর্মী, চট্টগ্রাম), রুদ্র ইকবাল (শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) প্রমুখ।