একের পর এক আক্রমণ আর রিচার্লিসনের চোখ ধাঁধানো গোলে ২-০ ব্যবধানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়ী দল ব্রাজিল।তবে ম্যাচ জয় করলেও স্বস্তিতে নেই ব্রাজিল সমর্থকরা, দলের প্রাণভোমরা নেইমার যে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তবে ভক্তদের আশ্বস্ত করে কোচ তিতে জানালেন স্বস্তির খবর।
পিএসজির এই ফুটবলারকে ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমের দিকে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখে ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, খেলতে পারবেন তো তিনি বাকি ম্যাচগুলো, নাকি সেই ২০১৪ সালের দুঃস্বপ্ন আবারো হানা দেবে সেলেসাও শিবিরে। জয়ের উল্লাসের রঙ কিছুটা ফিকে করে দিয়েছিলেন সার্বিয়ার নিকোলা মিলেনকোভিচের করা হাঁটুর ট্যাকলটি, যার ফলে পা মচকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় নেইমার জুনিয়রকে।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, নেইমারের পরিস্থিতি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে কোচ তিতের সংবাদ অনেকটাই স্বস্তি দিবে ব্রাজিল সমর্থকদের, তিনি বললেন ‘আপনারা একদম নিশ্চিত থাকুন, নেইমার ভালো আছে, এবং সে বিশ্বকাপে দলের সাথেই থাকবে।
দলের প্রাণভোমরা যেহেতু তিনি, প্রতিপক্ষের কড়া নজরে থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই তো ম্যাচে একের পর এক ট্যাকলের শিকার হতে হয় তাকে। তবে দু’একবার নয়, গতকাল ৯ বার তাকে ফাউল করেছে সার্বিয়ানরা। ৮০ মিনিটে তিতে নেইমারকে তুলে নিলে ডাগ-আউটে বসা তার চোখ এবং পায়ে দেওয়া বরফ এর জন্য ইনজুরির গুরুত্বটা উপলব্ধি করা যায়।
আর্জেন্টিনা ও জার্মানির মত হোঁচট খেয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে কিনা নেইমাররা, সেটাই যখন ছিলো সংশয়, তখন উত্তরটা যেনো এমনই হওয়া উচিৎ ছিল। রিচার্লিসনের জোড়া গোলে মিললো সেই প্রত্যাশিত জয়। ৭৩ মিনিটে করা তার দ্বিতীয় গোলটি যে অনেক দিন মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ম্যাচ শেষে টুইটারে নিজ দলকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি নেইমার। তিনি লিখেছেন, 'কঠিন ম্যাচ, তবে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দলকে অভিনন্দন। প্রথম পদক্ষেপ শেষ, আর বাকি ৬ ম্যাচ।' উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে থিয়াগো সিলভারা।