জিম্বাবুয়ে সফরে নুরুল হাসান সোহানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে তিন পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানকে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত নয় বিসিবি।
সোহানকে অধিনায়ক করা ও মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক-সাকিবদের বিশ্রামে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে, জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দল থেকেও বাদ দেওয়া হবে মাহমুদউল্লাহকে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে বাজে ফর্মের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সত্যিই তিনি দলে জায়গা হারান কি না, সেটি জানা যাবে হয়তো সন্ধ্যায়।
টি-টোয়েন্টি দল: মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), শেখ মেহেদি, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন।
ওয়ানডে দল: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাইজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সাকিবের চোটে পাঁচ ম্যাচের জন্য অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরে ২০১৯ সালে সাকিব নিষিদ্ধ হলে পাকাপাকিভাবে তার কাঁধেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। মাহমুদউল্লাহর অধীনেই সবচেয়ে বেশি ৪৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ, পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৬টি জয়।
এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে ৪৩ ম্যাচের ৪২ ইনিংসে ২৩.০০ গড়ে মাহমুদউল্লাহর রান ৭৮২, স্ট্রাইকরেট ১১২.৬৮, সর্বোচ্চ ৫২। অধিনায়ক হওয়ার আগের ৭৫ ম্যাচে ৬৮ ইনিংসে ২৩.৭৯ গড়ে ১২৬১ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইকরেট ১২১.৩৬, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান।