চলতি বছরের শেষদিকে কাতারে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। এই টুর্নামেন্ট দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ক্রীড়ামোদীরা যাবেন দেশটিতে।
তবে আসর যে দেশেই বসুক, বিশ্বকাপ উপলক্ষে খেলা ছাড়াও আরও অনেকভাবে বিনোদন খোঁজেন দর্শনার্থীরা। এবারের আয়োজক দেশ কাতার ‘রক্ষণশীল’ হিসেবে পরিচিত। সে কারণে তারা বেশ কিছু কাজের ওপর দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছেন, এবারের এক রাতের ‘অবৈধ’ যৌন মিলন (ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড) নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা পড়লে তার সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিটি ম্যাচ শেষেই রাতভর পার্টি চলে। কিন্তু কাতারে তা নিষিদ্ধ। দর্শকদের সাবধান করে দিয়ে দেশটির পুলিশ জানায়, দম্পতি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌন মিলন করা যাবে না। এই প্রতিযোগিতায় ‘এক রাতের যৌনমিলন’ থাকবে না।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোনো পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে। বিশ্বকাপে প্রথমবার এভাবে যৌন মিলন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সমর্থকদের সতর্ক থাকতে হবে।
কাতারে বিবাহবহির্ভূত যৌন মিলন এবং সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ। দেশটিতে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদিও বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা ফিফা বলছে, সব ধরনের মানুষকে এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
কাতার বিশ্বকাপে ফিফার প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, প্রত্যেক সমর্থকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবার সামনে ব্যক্তিগত ভালোবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য।
কাতার সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকেও সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কাতার ফুটবল সংস্থার সেক্রেটারি বলেন, কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা শুধু সেখানে প্রকাশ করা উচিত যে দেশে এটা মানা হয়।