Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রথম বউয়ের টাকায় দ্বিতীয় বউ চালাতেন সাকিব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৯:২৭ PM আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৯:২৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


প্রথম বিয়ে করেছেন রেল কর্মচারী পরিচয়ে। সেই সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। পরের বিয়ে করেন র‌্যাব সদস্য পরিচয়। পরের বার ডিএসবি পরিচয়ে করেন এসএসসি পরীক্ষার্থী এক তরুণীকে বিয়ে। তার কোলে দেড় মাসের সন্তান। এক স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাঠাতেন অন্য স্ত্রীকে। এটাই তার 'চাকরি'র বেতন বলে চালাতেন সংসার।

তবে কথায় আছে ধান খেয়ে ঘুঘু বারবার পালিয়ে গেলেও এক সময় ধরা পরে ফাঁদে। তেমনই ধরা খেয়েছেন প্রতারক সাব্বির হোসেন সাকিব। একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধারের পর তার প্রতারণার বিষয়টি ধরে ফেলেন তৃতীয় স্ত্রী তাসমিম।

সাব্বির হোসেন সাকিব রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার সুখান দিঘি গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তাসনিম নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের মামুন হোসেন পিন্টুর মেয়ে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, সাকিবের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় ও প্রেম হয় তাসমিমের। এ সময় সাকিব নিজেকে ডিএসবি পরিচয় দেন। ২০২০ সালের মার্চে মৌখিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বদলগাছীতে ভাড়া বাসায় সংসার পাতেন তারা। তবে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীসহ সবার কাছে নিজের পরিচয় লুকাতেন সাকিব। স্ত্রীকে কখনো নিজের বাড়িকেও নিয়ে যাননি। ব্যক্তিগত ব্যাগে কাউকে হাত দিতে দিতেন না সাকিব। একদিন তাসমিম কৌশলে সাকিবের একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে তার মধ্যে আরো দুই স্ত্রী-সন্তানের ছবি দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান।

এনিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সাকিব। এ সময় তাকে আটকে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

ওই রাতেই তাসমিমের মা বাদী হয়ে সাকিবের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা মামলা করেন। পরে পুলিশ সাকিবকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়।

থানায় জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব স্বীকার করেন, তিনি রেলওয়ে কর্মচারী পরিচয়ে প্রথম বিয়ে করেন নাটোরে। সেখানে দুটি সন্তান রয়েছে তার। র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায়। পরে ডিএসবি পরিচয়ে বদলগাছীর তাসমিমকে বিয়ে করেন। এই সংসারে দেড় মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার।

ভুক্তভোগী তাসমিম দাবি করেন, তার পরিবারের কাছ থেকে ধারের কথা বলে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন সাকিব। 

তাসমিম বলেন, 'গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানলাম সে প্রথম বউয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দ্বিতীয় বউয়ের খরচ দেয় এবং দ্বিতীয় বউয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে চালায়। আবার আমার পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দ্বিতীয় বউ চালায়। এটাই তার চাকরি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এভাবে প্রতারণা করবে। আমার কোলে দেড় মাসের কন্যা সন্তান। আমি এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমি এখন দাঁড়াবো কোথায়, কোন পথ দেখছি না।'

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, সাব্বির প্রতারণা করে তিনটি বিয়ে করেছেন। তার কোনো কর্ম নেই। তিনি এক বউয়ের টাকা দিয়ে অন্য বউকে চালায়। তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বদলগাছীর বিয়ে রেজিস্ট্রি করেনি। এটাও অপরাধ।

Bootstrap Image Preview