Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের সহজে বউ হিসাবে নিতে চায় না, সারা রাত এরা ঘুরাফিরা করে’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ১২:৫৩ AM আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ১২:৫৩ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের সহজে কেউ বিয়ে করতে চায় না’– এমন একটি মন্তব্যের সূত্র ধরে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে ওই মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা তার ওই অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তারা জানান, গত বছর শাবিপ্রবির সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এর অংশ হিসাবে উপাচার্যের সঙ্গেও তারা সাক্ষাৎ করেন। তখন তাদের দাবি ছিল ৩৬৫ দিন হল খোলা রাখা, ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে হলে প্রবেশের সময়সীমা চাপিয়ে না দেওয়া। এ প্রেক্ষিতে এক ছাত্রলীগ নেতার বরাত দিয়ে উক্ত মন্তব্য করেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

ওই অডিওতে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা এই ধরনের দাবি তুলেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় সারা রাত খোলা রাখতে হবে, অবশ্যই এই দাবিটা এসেছে এবং এইটা একটা জঘন্য রকম দাবি। আমরা মুখ দেখাইতে পারতাম না’।

তিনি আরো বলেন, ‘এখানে আমাদের ছাত্রনেতারা বলছেন যে জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের কেউ সহজে বউ হিসেবে নিতে চায় না। কারণ সারা রাত এরা ঘুরাফিরা করে। বাট আমি চাই না যে আমাদের যারা এত ভালো ভালো স্টুডেন্ট, যারা এত সুন্দর সুন্দর আমাদের এখানকার যে ডিপার্টমেন্টগুলো এবং আমাদের যে বিখ্যাত শিক্ষকরা...তারা যাদেরকে গ্র্যাজুয়েট করে তোমাদেরকে বের করতে চায়, তাদের এ রকম একটা কালিমা লেপুক তাদের মধ্যে’।

শাবিপ্রবি উপাচার্য আরো বলেন, ‘ওই জায়গাটা কেউ চায় না, কোনো গার্জিয়ান চায় না কিন্তু। এখন, আমরা যদি কাউকে বলি তোমার বাবা-মা কাউকে ফোন করব। তখন তোমরাই তো এটা বাধা দিবা না না না এইটা হবে না, দেখ হয়রানি করতেছে। এটা তো প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব, তোমাদেরও নৈতিক দায়িত্ব যে এই মেয়ে কেন রাতের বেলা সোয়া দশটা পর্যন্ত স্যাররে সময় দিছে’।

এ উপাচার্যকে আরো বলতে শোনা যায়, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশে সোয়া দশটা পর্যন্ত মেয়েরা অফিসে থাকতে পারে না। তারপরেও আমরা সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তোমরা কেন বল না যে কি তুমি একদিন রাস্তায় বের হও তোমারা, এটা বল যে তুমি বারোটা-একটায় কী করতেছ? দুইটার সময় কী করতেছ?

‘আমি মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে যখন আসি রাতে বারোটা একটা বেজে যায়। আমি দেখি যে আমাদের ওয়ান কিলোমিটার রাস্তা দিয়া ছেলেমেয়ে হাত ধরাধরি করে কনসালটিং করতেছে। একটা অঘটন ঘটলে কিন্তু দায়দায়িত্ব ভাইস চ্যান্সেলরকে নিতে হবে। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। ভাইস চ্যান্সেলর দায়ী সে জন্য। 

Bootstrap Image Preview