পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে শুরু সময় স্টেডিয়ামের আকাশ ছেয়ে গেল কালো ধোঁয়ায়। এটা বুঝতে বাকি রইল না, পাশে কোথাও ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সে আগুনের আঁচ এসে পড়ল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আগুন জ্বালালেন পাকিস্তানি পেসাররা, তাতে জ্বলে-পুড়ে ছাড়খার বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তান দলের বোলারদের বোলিং তোপে দিশেহারা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ধুঁকতে ধুঁকতে লাঞ্চ বিরতিতে গেল বাংলাদেশ দল। প্রথম সেশন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ৬৯ রান। মুশফিকুর রহিম ৫ ও লিটন দাস ১১ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।
আজ শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ম্যাচটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটের পতন হয় ১৯ রানের মাথায়। সাইফের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। শাহীন শাহ আফ্রিদির শিকার হন সাইফ হাসান। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরেছিলেন। পরের বলে তার ব্যাট ছুঁয়ে কাঁধে লেগে উপরে উঠে শর্ট ফাইন লেগে আবিদ আলীর হাতে ধরা পড়ে বল। ১২ বলে ১৪ রান করেন সাইফ। এরপর হাসান আলীর বলে এলবিডাব্লিউ হন সাদমান ইসলাম। রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উইকেট বাঁচাতে পারেননি। অষ্টম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৩৩ রানে। ২৮ বলে ১৪ রান করেন সাদমান।
বাংলাদেশ ২২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৪ রান করে। পঞ্চম উইকেটে ৩২ বলে ১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুশফিক ও লিটন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে টেস্ট অভিষেক হয়েছে ইয়াসির আলী রাব্বির। অপেক্ষা ফুরাল তার। বাংলাদেশের ৯৮তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো ইয়াসিরের। অরাধ্য টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকের কাছ থেকে। এছাড়া পাকিস্তান দলেও টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক।
দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। রাওয়ালপিন্ডির সেই টেস্টে মুমিনুল বাহিনী হেরেছিল ইনিংস ও ৪৪ রানে। এরপর আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাবর আজমদের বিপক্ষে একদম নতুন খোলশে সাদা পোশাকে লাল বলের লড়াইয়ে নেমেছে মুমিনুল হকের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন, সাইফ হাসান।
পাকিস্তান: আব্দুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফাহিম আশরাফ, নওমান আলী, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সাজিদ খান।