সুপার টুয়েলভ আগেই নিশ্চিত। সরল, অথচ কঠিন সমীকরণ ছিল স্কটল্যান্ডের৷ জিততেই হতো তাদের, কোনোপ্রকার রান, উইকেটের হিসাব ছিল না। আবার হারলেই ছিটকে যেতে হতো বিশ্বকাপ থেকে। তবুও বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল ওমান-স্কটল্যান্ড ম্যাচের দিকে। কারণ এ ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করছিল সুপার টুয়েলভের কোন গ্রুপে খেলবে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত গ্রুপ ১-এ খেলতে হবে তাদের। প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ওমানকে সহজেই হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। ফলে 'বি' গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে দলটি।
বৃহস্পতিবার ওমানের মাসকাটের আল-আমেরাত স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২২ তুলে অলআউট হয়ে যায় ওমান। জবাবে ১৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্কটিশরা।
আগের দুই ম্যাচের মতো ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে এদিনও দাপট দেখিয়েই জিতেছে স্কটল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করে তাদের সামনে ১২২ রানের লক্ষ্য দেয় ওমান। ওই লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখেই তাড়া করে কাইল কোয়েটজারের দল।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা ওমান হোঁচট খায় শুরুতে। দলটির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ও বিশ্বকাপের মূল পর্বে আনার কারিগর যতিন্দর সিং রান আউট হয়ে ফেরেন কোনো রান না করেই। অবশ্য আরেক ওপেনার আকিব ইলিয়াস রান পেয়েছেন। ৩৫ বলে ৩৭ রান করে লিসাকের বলে আউট হন তিনি।
এছাড়াও মোহাম্মদ নাদিমের ২১ বলে ২৫ ও অধিনায়ক জিসান মাকসুদের ব্যাটে আসে ৩০ বলে ৩৪ রান। তবে এই দুজনের বিদায়ের পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ওমানের ইনিংস। ১২২ রানে গুঁটিয়ে যায় তারা। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জশ ডেভি।
ওমানকে জবাব দিতে নেমে কাজটা কঠিন হয়নি স্কটল্যান্ডের জন্যও। ওপেনার জর্জ মুন্সি ১৯ বলে ২০ রান করে আউট হলেও ঝড় তুলেন অধিনায়ক কোয়েটজার। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৪১ রান করেন তিনি। খাওয়ার আলির বলে তার বিদায়ের পরও অবশ্য খেই হারায়নি স্কটিশরা।
৩৫ বলে ২৬ রান করে ম্যাথিউ ক্রস ও ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন রিচি বেরিংটন। ৩ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্কটল্যান্ড।