Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কক্সবাজারে গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪২ PM আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪২ PM

bdmorning Image Preview


কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ইকবালকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হবে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। 

কুমিল্লার ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কবে জনসম্মুখে আনা হবে বা এ ঘটনার সর্বশেষ আপডেট কী- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ী ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। কুমিল্লা মাজারের সঙ্গে যে মসজিদ, সেটা প্রসিদ্ধ মসজিদ। লোকটি (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে) রাত ৩টার দিকে কয়েকবার (সেখানে) গিয়েছেন। সেখানে তিনি মসজিদের খাদেমের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।  

মন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা এ কাজে অভিজ্ঞ তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ব্যক্তিটি মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ এনে রেখেছেন, এটা তারই কর্ম। আমরা যতটুকু দেখেছি, লোকটি কোরআন এনে মূর্তির কোলে রেখে মূর্তির গদাটি কাঁধে করে নিয়ে আসছে। 

কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এরইমধ্যে সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে—কে এই ইকবাল?

গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার সুজানগরের এ যুবক পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র নানুয়া দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে রাখেন। এরপর তা নিয়ে দেশব্যাপী তুলকালাম ঘটে।

এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়।

পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview