ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কাল আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ করার শাস্তি পেলেন সাকিব আল হাসান। তাঁকে ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ করার খবর নিশ্চিত করেছেন মোহামেডান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান।
গতকাল আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অসন্তোষ জানিয়ে দুই দফা স্টাম্প ভাঙায় সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।
এর আগে বিতর্কিত কাণ্ডে জড়িয়ে আবারও আলোচনায় সাকিব আল হাসান। গতকাল (শুক্রবার) মিরপুর শেরে বাংলায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক বেশ কয়েকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।
একটি আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ, তিনটি আলোচিত ঘটনা; তিনটিতেই মূল চরিত্রে সাকিব আল হাসান। শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জমজমাট ম্যাচটিতে প্রথমে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব, পরে তিনটিই মাটিতে আছাড় মারেন আর সবশেষ আবাহনী ডাগআউটের সামনে দেখা যায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।
এতসব ঘটনার পরে ম্যাচের জয়ী দল সাকিবের মোহামেডানই। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে ৩১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে সাদা-কালোরা। তবে মাঠে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন সাকিব, তখন তা প্রায় নিশ্চিত।
ম্যাচ শেষে তখন বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলেছেন, ‘খেলার মাঠে অনেক কিছুই হয়। আজকে আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচ ছিল। সেখানে আমরা অনেক উত্তেজনা দেখলাম। সাকিব আল হাসানকে ঘিরে কিছু ঘটনা আমরা দেখেছি। এটা ফেসবুক লাইভ, ইউটিউব থেকেও সবাই দেখতে পেয়েছে।’
‘বিষয়টা দুঃখজনক। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে এমন উত্তেজনাপূর্ণ সময় এসে যেতে পারে। তবে আমরা আশা করব খেলোয়াড়রা তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এই খেলাটি আইসিসি স্বীকৃত ম্যাচ। এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররা আছেন। তারা একটা রিপোর্ট দেবেন। সবকিছুরই নিয়ম আছে। কোন নিয়ম ভাঙলে কী শাস্তি, সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে’-যোগ করেন ইনাম।
সেই শাস্তির মাত্রা কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষ কিছু বলতে পারেননি ইনাম। তিনি বলেছেন, ‘শাস্তি কেমন হবে সেটা রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে। তারা যা বলবে, সেভাবেই সিদ্ধান্ত হবে।’
এদিকে সাকিব তার ভুলটা বুঝতে পেরেছেন। অনুতপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমাও চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ফেসবুকে এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আমার মেজাজ হারানোর জন্য এবং ম্যাচটা সবার জন্য শেষ করে দেওয়ায়, বিশেষত যারা ঘরে থেকে খেলাটা দেখছিলেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়র এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি।’
সাকিব যোগ করেন, ‘কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু কিছু মতবিরোধে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা ঘটে যায়। আমি আমার দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়াল এবং আয়োজক কমিটির কাছে এই মানবীয় ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটার পুনরাবৃত্তি হবে না। ধন্যবাদ এবং সবার জন্য ভালোবাসা।’