এশিয়া কাপে শুধু বিপক্ষের বোলাররাই নন, ব্যাটসম্যানদের সামনে বড় চ্যালে়ঞ্জ হয়ে উঠতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উইকেট। দুবাই এবং আবু ধাবি— এই দুই শহরের মাঠে হবে আসন্ন এশিয়া কাপ ক্রিকেট। দুবাইয়ের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক টোবি লামসডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্থানীয় আবহাওয়া ম্যাচের ওপর বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
সেটা কী রকম? পিচ প্রস্তুতকারক বলেছেন, ‘‘এখানে দিনে প্রচণ্ড গরম। রাতে আর্দ্রতা বাড়বে, খুব শিশির পড়ারও আশঙ্কা আছে। সারা দিন ধরে পরিবেশ, পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। বিকেলের দিকে পিচে দ্রুত বল আসতে পারে। আবার সন্ধ্যার পরে বল সিম করতে পারে। স্পিনও হতে পারে।’’
টোবির কথায় পরিষ্কার, ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গভূমি নাও হতে পারে দুবাইয়ের বাইশ গজ। সাধারণত, ওয়ান ডে ম্যাচে এখন তিনশো রান সব সময়ই দেখা যায়। কিন্তু টেবির কথা মতে, ‘‘আমরা দুটো নতুন পিচ বানিয়েছি দুবাইয়ে। সাধারণত এখানে প্রথমে ব্যাট করলে ২৬০ রানের মতো ওঠে। আমরা চেষ্টা করছি, যেন আর একটু ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানানো যায়। কিন্তু ঘটনা হল, বছরের এই সময় সেটা করা খুব কঠিন।’’
এশিয়া কাপ খেলতে আসা প্রতিটা দলকেই চিন্তায় রাখবে দুবাইয়ের আবহাওয়া। দেশ ছাড়ার আগে মাহমুদুল্লাহ দুবাইয়ের আবহাওয়াকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।তবে আপাতত যা পরিস্থিতি, প্রচণ্ড গরমের কথা মাথায় রেখে ম্যাচ দিন-রাত্রির ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ।এর মধ্যেই দু’দলই দুবাই পৌঁছে শুরু করে দিয়েছে অনুশীলন।বাংলাদেশ দুবােইয়ের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে দিন এবং রাতে দুই সেশনে অনশীলন করছে।
এদিকে এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দল দু’ভাগে দুবাই পৌঁছবে। রোহিত শর্মা-সহ যাঁরা ইংল্যান্ড সফরে নেই, তাঁদের ১৩ তারিখ দুবাই চলে যাওয়ার কথা। বাকিরা ইংল্যান্ড থেকে ১৬ তারিখ রাতের মধ্যে দুবাই পৌঁছে যাবেন। ১৮ তারিখ হংকংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করছে ভারত। পরের দিনই রোহিতরা খেলতে নামবেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।