Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে কারনে পুলিশের ১৫০৭ সদস্যকে একযোগে নজীরবিহীন বদলির আদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:২৯ PM আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা হত্যার পর ইমেজ পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরাতে কক্সবাজার জেলায় কর্মরত পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত ১৫০৭ সদস্যকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। একক কোনো জেলার সব সদস্যকে এ ধরনের বদলি দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের আচরণে পরিবর্তন আনতে এই আদেশ বলে জানিয়েছেন ডিআইজি।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা বদলি আদেশগুলো গত দু'দিন ধরে একে একে পৌঁছায় চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডি আই জি কার্যালয়ের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। প্রথমে শুধু পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে বদলি করা হলেও তার পরদিন সাতজন অতিরিক্ত এবং সহকারী পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়। তৃতীয় দফায় পরিবর্তন করা হয় আট থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৬১ ইন্সপেক্টরকে। সবশেষ শুক্রবার ১৩৯ জন এসআই, ৯২ জন এএসআই এবং ১ হাজার ৫৫ কনস্টেবল ও নায়েককে গণহারে বদলির আদেশ দেয়া হয়।

ডি আই জি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'কক্সবাজারে ইতিপূর্বে যারা কর্মরত ছিলো আমরা বিশ্বাস করি সকলে ভালো কাজ করেছে। পরবর্তীতে আরো ভালো কাজ করবে সে জন্য আমরা পরিবর্তন এনেছি।'

দেশের ইতিহাসে এর আগে একযোগে একক কোনো জেলার পুলিশের সব সদস্যকে বদলির এমন নজির নেই। মূলত গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার পর পুরো দেশের পুলিশই ভয়াবহ ইমেজ সংকটের মুখে পড়ে। সংকট কাটাতেই এ বদলি আদেশ বলে মনে করছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। তবে তারা পুরো পুলিশ প্রশাসনেরই আমূল পরিবর্তনের কথা বলছেন।

অপরাধ বিশ্লেষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, 'এটি একটি ভালো উদ্যোগ। তবে অন্যায় যার সাথেই হোক ব্যবস্থা নেওয়ার সময় অবশ্যয় যেনো সমতা থাকে। শুধু এলিট বা ধনীদের সাথে অন্যায় হলে শাস্তি দেওয়া হবে গরীবের বেলাতে হবে না এমন বৈষম্য যেনো না হয়।'

কক্সবাজার থেকে বদলি হওয়া সব পুলিশ সদস্যদের আগামী ২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন ইউনিটে যোগ দিতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ ডি আই জি চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডি আই জি আনোয়ার হোসেন।

৩১ জুলাইয়ের প্রদীপকান্ডের পর টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ দাশ এবং বাহারছড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে।

Bootstrap Image Preview