কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস। যদিও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন, প্রদীপ কুমার চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সিএমপিকে ফোন করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে সিএমপি তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় কক্সবাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
যদিও গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়। ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে পুলিশ টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। যেহেতু তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত সংস্থা আমরা (র্যাব), তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে বুধবার রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে, টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।