Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিষিদ্ধতায় ৫ যুবা ক্রিকেটার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১২:৪২ PM আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১২:৪২ PM

bdmorning Image Preview


যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্রকে শাস্তি দেয়া হয়েছে ৫ ক্রিকেটারকে। যার মধ্যে ৩জন বাংলাদেশী এবং ২জন ভারতের। আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ এলারডিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিন জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন- মোহাম্মদ তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রাকিবুল হাসান, দুই ভারতীয় ক্রিকেটার হলেন আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়। তবে সবচেয়ে বড় শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়।

এই ৫ জনই আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ২.২১ ভেঙেছেন, রবি বিষ্ণয় ২.২১ এর সাথে ২.৫ ও ভেঙেছেন। ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয় দোষের মাত্রা অনুসারে এই ৫ জন কে ভিন্ন ভিন্ন শাস্তি দিয়েছেন। 

২.২১ ভঙ্গ করায় তৌহিদ হৃদয় পেয়েছেন ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এই রেকর্ড থাকবে ২ বছরের (২৪ মাস) জন্য। ফলে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

বাকিরা শামীম হোসেন (৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং রকিবুল হাসান (৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ)। ভারতের আকাশ সিং নিষিদ্ধ হয়েছেন ৮ম্যাচ আর লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫টি ম্যাচ।

সব শাস্তি অন ফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাসকি ও অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক, তৃতীয় আম্পায়ার রবীন্দ্র উইলমালসিরি ও চতুর্থ আম্পায়ার প্যাট্রিক বগ্নি জেলে সুপারিশ করেন যা আমলে নিয়ে প্রয়োগ করেন ম্যাচ রেফারি।

এই ৫ জনই তাদের ওপর আরোপিত শাস্তি মেনে নিয়েছেন। লেভেল ৩ এর কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার সর্বনিম্ন শাস্তি ৪ সাসপেনশন পয়েন্ট, সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ সাসপেনশন পয়েন্ট।

ক্রিকেটারদের ওপর আরোপিত শাস্তি তাদের ওপর কার্যকর থাকবে সামনে তাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে এমন ম্যাচে (জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ দল)। ১ সাসপেনশন পয়েন্টের জেরে একজন ক্রিকেটার ১ ওয়ানডে/ টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ বা এ দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারে না।

আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যলার্ডিস বলেন, ‘আপনি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে যেরূপ লড়াই আশা করেন সেটাই হয়েছে ম্যাচে। কিন্তু ম্যাচ শেষে উল্লাস ও হতাশা প্রকাশের সময় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার কোন স্থান নেই ক্রিকেটে। স্পিরিট অফ ক্রিকেটে সম্মান জিনিসটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা হয় ক্রিকেটাররা আত্ম-সংযমী হবে, প্রতিপক্ষকে তাদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাবে আবার নিজেদের সাফল্য উপভোগ করবে।'

Bootstrap Image Preview