টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিংয়ের জন্য সৌম্য ও লিটন কুমার দাসের জুটিকে সফল মানা হয়। কিন্তু পাক সফরে গিয়ে জুটি হওয়ার মতো অবস্থানে এ দুজনকে খেলানো হচ্ছে না।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ছয়ে নেমেছিলেন সৌম্য। ১৮তম ওভারে নেমে তেমন কিছুই করতে পারেননি। ৭ রানে আউট হয়েছিলেন।
শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে আরো পতন হয় তার। সাত নাম্বার পজিশনে নেমে হাত তুলে মারার সময়ই পাননি। পাঁচ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এদিকে দুই ম্যাচেই ওপেনিংয়ে তামিম-নাঈমের কচ্ছপ গতির সমালোচিত হয়েছে। দল হারার পেছনে তাদের মন্থর গতিতে রান নেয়াকে দায়ী করেছেন কেউ কেউ।
এমন পরিস্থিতিতে টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যান সৌম্যকে কেন সাতে খেলানো হচ্ছে সে প্রশ্ন ছুড়েছেন অনেকেই।
এবার সে প্রশ্নে মুখ খুললেন বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, সৌম্য অবশ্যই দারুণ ক্রিকেটার। টপঅর্ডারে অনেক সুযোগ পেয়েছে সে। কিন্তু আমরা এমন একজনকে খুঁজছি, যিনি শেষ দিকে নেমে চার-ছক্কা হাঁকাবেন। এই জায়গাটিতে বাংলাদেশ দলে ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বমানের দলগুলোর ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে মাঠের বাইরে বল ফেলে বড় সংগ্রহ এনে দেন। সে রানই মূলত জেতার জন্য নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। এজন্যই শেষের দিকে আমরা পাওয়ার হিটার রাখতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, বেশি স্ট্রোক খেলে কম বলে বেশি রান করার যোগ্যতা সৌম্যের আছে। তাই তাকে টেল এণ্ডে এনে সেটাই চেষ্টা করেছি।
ডোমিঙ্গো বলেন, এই সিরিজে আমরা কিছু পরোখের চেষ্টা করে দেখছি। সৌম্য ও লিটন ওপেন করলেও এ সফরে আমরা একগাদা ওপেনার পেয়েছি। তাই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি। বিভিন্ন কম্বিনেশন ঝালিয়ে দেখছি যে, কে কোন পজিশনে বেশি ভালো খেলে। সৌম্যের বেলায় আমরা পরোখ করে দেখছি যে শেষদিকে ও কেমন করে।
প্রসঙ্গত এবারের বিপিএলে ওপেনিং করেননি সৌম্য। একটু নিচে নেমে বেশ সফল হয়েছেন তিনি। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন। তাই বলে তাকে সাতে নামানোতে বিস্মিত হয়েছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।