যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই নাগরিকত্ব- এ অবস্থান থেকে সরে আসতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ প্রকল্পে দেশটিতে ভিসা নির্দেশনায় ‘জন্মগত পর্যটন’ সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনতে পারে বর্তমান সরকার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসা বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরা জন্মগত পর্যটনের জন্য ব্যবহার করতে না পারে, এ লক্ষ্যে ভিসা নির্দেশনায় সংশোধন আনা হচ্ছে। নতুন নির্দেশনাটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জন্মগত পর্যটন নিয়ে নতুন নির্দেশনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এর সঙ্গে জড়িত জাতীয় নিরাপত্তার সুরক্ষা ও আইন প্রয়োগে ঝুঁকি মোকাবিলা করা। তবে ভিসা নির্দেশনায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা হবে, কীভাবে এটি প্রয়োগ করা হবে এবং এটি পর্যটকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা জানাননি তিনি।
দেশটিতে অন্য দেশের কোনো নাগরিক পর্যটন ভিসায় বিদেশে গিয়ে যদি সেখানে সন্তান জন্ম দেন, তবে ওই সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করে। অনেক দেশের নাগরিক রাষ্ট্রটির উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের সাইপান দ্বীপে সন্তান প্রসবের চিন্তা করেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হলেও সাইপানে প্রবেশ করতে বেশ কয়েকটি দেশের ভিসা প্রয়োজন হয় না।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কয়েকবার জন্মগত পর্যটনের ব্যাপারে বিরোধিতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিছু দিন আগে সাইপানে আসার আগে এক নারী যাত্রীকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে বাধ্য করেছিল হংকংভিত্তিক একটি এয়ারলাইনস। তার কাছে পরে ক্ষমাও চেয়েছিল এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ। ঘটনার এক সপ্তাহ পরই জন্মগত পর্যটন নিয়ে নতুন নির্দেশনার ব্যাপারে ঘোষণা দিলো ট্রাম্প প্রশাসন।