সময় স্বল্পতার জন্য এস এ গেমসের আগে বিদেশি কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের তালমিলটা ভালো ভাবে হয়নি। এ কারণেই নেপালে প্রত্যাশিত ফল আসেনি বলে মনে করেন কোচ মাহবুবুর রহমান। আর নেপালের অতিরিক্ত উচ্চতা এবং পুলের আকারে সামঞ্জস্য না থাকায় বাংলাদেশি সুইমারদের ভুগতে হয়েছে বলে মত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের। যদিও দেশি সুইমারদের টাইমিং ভালো হওয়াকেই একটা প্রাপ্তি বলে মনে করেন তিনি। তবে ভালো ফল পেতে হলে যে পুরো সিস্টেমটাকেই বদলে ফেলতে হবে সে বিষয়ে একমত তারা দুজনেই।
২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমস। স্বর্ণ এবং মোট পদক জয়ের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। আগের সবগুলো আসরকেই ছাপিয়ে গেছে এবারের অ্যাথলিটরা।
তবে আলোর নিচেই যে অন্ধকার। আশার বেলুন ফুলিয়ে নেপালে গেলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ইভেন্ট সাঁতারকে। ৩৮ স্বর্ণের মাঝে, ২২টির জন্য প্রাণপণ লড়েও ৩ রৌপ্য আর ৮ ব্রোঞ্জেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশিদের।
শাখা-প্রশাখাসহ আটশ নদ-নদী বিধৌত বিপুল জলরাশির ২৪ হাজার ১৪০ কিলোমিটারের এ বাংলাদেশের নেই একজনও সোনার সাতাঁরু। বিষয়টা হতাশ করেছে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের। যদিও অজুহাতের কমতি নেই তাদের কাছে।
বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ বলেন, নেপালে আমরা দুটো বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছি সেটা হলো এক উচ্চতা আর দুই যেহেতু আমরা পঞ্চাশ মিটার পুলে অনুশীলন করেছি সেখানে গেম হয়েছে ২৫ মিটার পুলে।
বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের কোচ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রথম কোচ চলে যাওয়ার পরে সাঁতারুরা ধীর হয়ে গেছে। আর পরের কোচের অভিজ্ঞতা অত বেশি ছিল না। তাই সমন্বয় ভালোভাবে করতে পারেনি।
এস এ গেমসের মতো আসরে, ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীতা সবসময়ই। তবে এবার যে পেছনে পড়তে হয়েছে হিমালয় কন্যা নেপালেরও। যে জুনায়না-আরিফরা দোর্দন্ড প্রতাপে ছড়ি ঘোরান দেশের পুলে, তারাও যে ব্যর্থ কাঠমাণ্ডুর সাতদোবাতোতে।
নেপাল পর্ব শেষ। এখন আর পুরানো হতাশা নিয়ে ভাবতে চান না সাঁতারের কর্তাব্যক্তিরা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমূল পরিবর্তন করতে চান এ ইভেন্টটির।
সব সমস্যার সমাধান হবে, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের সাঁতার। নতুন বছরে এটাই এখন একমাত্র প্রত্যাশা।