Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এমপি ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০২:০৯ PM আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০২:০৯ PM

bdmorning Image Preview


যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, ইসমত আরা সাদেক আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে বগুড়া ভি এম গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন ও ১৯৫৮ সালে ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েড পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৯২ সালে তিনি ও তার স্বামী এ, এস, এইচ, কে, সাদেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কেশবপুর মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন ও তখন থেকে কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের সদস্য ছিলেন।

তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে নতুন সরকার গঠিত হলে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি।

ইসমত আরা সাদেকের স্বামী এ এইচ কে সাদেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। সাবেক এই সচিব আওয়ামী লীগ থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে ইসমত আরা সাদেক এক ছেলে এবং এক মেয়ের মা। তার ছেলে তানভীর সাদেক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং মেয়ে নওরীন সাদেক একজন স্থপতি প্রকৌশলী।

তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যশোরে নিজ নির্বাচনী এলাকায়। মৃত্যুর খবর হাসপাতালে ছুটে আসেন রাজনৈতিক সহকর্মীরা।

Bootstrap Image Preview