কোচ হিসেবে যাত্রার শুরুতে তাকে খানিক চুপচাপ মনে হয়েছে। কথা কম। মুখে হাসি লেগে থাকে সর্বক্ষণ। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে কথা-বার্তায় ফুটে উঠছে তার চরম পেশাদার মানসিকতা।
আজ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তরুণ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ, ভূমিকা আর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাসেল ডোমিঙ্গো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, পেশাদার ক্রিকেটে একদম পাকা-পোক্ত জায়গা কম। পরিবেশ-প্রেক্ষাপটে যিনি বা যে যেখানে মানানসই হবে, তাকে সেখানেই খেলানো হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ইয়ন মরগ্যান আর নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসের উপমা টেনে বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটসম্যানদেরও ভিন্ন পজিশনে খেলার তাগিদ দিয়েছেন টাইগার হেড কোচ।
তার সোজা সাপটা কথা, যে সেরা খেলোয়াড় সে সব জায়গায়, কন্ডিশন উইকেট আর যে কোন পজিশনেই ভাল খেলতে পারে। আপনি মরগ্যানকে তিন কিংবা ৬ নম্বর যেখানেই খেলান না কেন, সে সফল হবে। একইভাবে কেন উইলিয়ামসকেও যদি ওয়ানডাউন কিংবা পাঁচ নম্বরে নামানো হয়, সে ঠিকই ওই দুই পজিশনের কোথায় কি ধরনের অ্যাপ্রোচ ও ভূমিকা- তা ঠিক করে সঠিক পথটি বেছে নেবে।
পাকিস্তান সফরে সাকিব ও মুশফিকুর রহীমের অনুপস্থিতিতে তরুণদের সামনেও এমন পথ। তাই তাদের আগেভাগে তৈরি হবার তাগিদ হেড কোচের মুখে, এটা তরুণদের সামনে খুব বড় সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার।
এজন্য আমি খুব উত্তেজিত, রোমাঞ্চিত। এখন লিটন দাসের মত ক্রিকেটারকে যদি এক থেকে দুটি ম্যাচে চার নম্বরে খেলতে হয়, সেটা ভাল। একই ভাবে মিঠুনেরও যদি তিনে নামতে হয় সেটাও ঠিক আছে। একইভাবে আফিফকে যদি ছয় নম্বর থেকে ওপেন করতে হয়, তাহলে তাকেও ওই করণীয় কাজটা রপ্ত করতে হবে।