প্রথম ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং, দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তার আগে কেরিয়ারের সেরা বোলিং করেছিলেন পোলার্ড, সুযোগ তৈরি করেও জয়বঞ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে নিশ্চিত হয়ে যায়, অন্তত সিরিজ হারছে না আইরিশরা।
হলোও তাই। সোমবার ভোরে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের উড়িয়ে ৯ উইকেটের জয় ঠিকই পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ভাগাভাগি করতে হয়েছে সিরিজের ট্রফি। তবে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ঠিকই পেয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।
শেষ ম্যাচটিতেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পোলার্ড। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উইকেট নিয়েছেন দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা ডোয়াইন ব্রাভো। ফলে ১৩৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। পরে লেন্ডল সিমনস ও এভিন লুইসের উত্তাল ব্যাটিংয়ে মাত্র ১১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ১৩৯ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১০.৪ ওভারে ১৩৩ রান যোগ করেন এভিন লুইস ও সিমনস। লুইস আউট হওয়ার এক বল পরেই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন ডানহাতি ওপেনার সিমনস।
আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ২৫ বলে ৪৬ রান করেন লুইস। আর শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকা সিমনস রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন। খেলেন ৫ চার ও ১০ ছক্কার মারে ৪০ বলে ৯১ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
এর আগে ব্রাভো-পোলার্ডের সম্মিলিত আক্রমণে ১৯.১ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় আইরিশরা। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া পোলার্ড, এ ম্যাচে ১৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ব্রাভোও।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন চার ব্যাটসম্যান। পল স্টার্লিং ৭ বলে ১১, কেভিন ও'ব্রায়েন ১৮ বলে ৩৬, অ্যান্ডি ব্যালবার্নি ২৩ বলে ৩১ ও ব্যারি ম্যাকার্থি ১৩ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন।